মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের নতুন প্রধানমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুলআজিজ দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ছেলে ও উত্তরসূরী প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম ঘোষণা করেছেন।
তার আরেক ছেলে প্রিন্স খালিদকে বানানো হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক রাজকীয় আদেশে এসব জানানো হয়েছে বলে সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ-র বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
দেশটির মন্ত্রিসভায় এ রদবদলে বাদশাপুত্র প্রিন্স আবদুলআজিজ বিন সালমান জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবেই বহাল আছেন; বদলায়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহর দপ্তরও।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দীর্ঘদিন সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামলেছেন, তিনিই এখন বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশটির ‘ডি-ফ্যাক্টো’ শাসক।
এমবিএসের ছোট ভাই প্রিন্স খালিদ বিন সালমান এর আগে ছিলেন উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী।
মঙ্গলবারের রাজকীয় আদেশে আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার কোনো বৈঠকে বাদশা সালমান থাকলে সেখানে তিনিই সভাপতিত্ব করবেন।
আড়াই বছর ক্রাউন প্রিন্স থাকা সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের শাসক হন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র হিসেবে গণ্য হওয়া একাধিক স্থাপনার জিম্মাদার, ৮৬ বছর বয়সী এ বাদশা গত দুই বছরে বেশ কয়েকবারই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
২০১৭ সালে ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসা প্রিন্স মোহাম্মদ অতিমাত্রায় তেল নির্ভরশীল সৌদি অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন। নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি, সমাজে মোল্লাদের প্রভাব কমিয়ে আনাসহ তার নানান পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের গোঁড়া রক্ষণশীল দেশটিকে অনেকখানি বদলে দিয়েছে।
এসব সংস্কারের পাশাপাশি ভিন্নমতের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন, রাজপরিবারের অনেক সদস্য, অ্যাক্টিভিস্ট, নারী অধিকার কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জেলে পুরে সমালোচনাও কুড়িয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশুগজিকে হত্যার ঘটনা এমবিএসের ভাবমূর্তিতে অমোচনীয় দাগ লাগিয়ে দেয়; ওই ঘটনা সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করে।