উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে পাল্টা ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়লো দ.কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ‘বদলা’ নিলো দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। বুধবার (৫ অক্টোবর) জাপান সাগরে ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো ওই দুই দেশ।
মঙ্গলবার সকালে জাপানের ওপর দিয়ে আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল কিম জং উনের দেশ। তারই ‘বদলা’ নিতে বুধবার তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুটি করে ‘আর্মি ট্যাক্টিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার আচরণের নিন্দায় সরব হয়েছিল এই দুই দেশ।
উত্তর কোরিয়ার পদক্ষেপ প্ররোচণামূলক বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। নিন্দায় সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তর কোরিয়াকে পাল্টা জবাব দিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে যেভাবে শক্তি প্রদর্শন করল দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র, তাতে নতুন করে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়লো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিবিসি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির যাত্রা সময়ে হোক্কাইদো দ্বীপের জনগণকে সতর্ক থাকতে বলে জাপান সরকার। সাময়িকভাবে কিছু ট্রেনের যাত্রাও স্থগিত রাখা হয়।
২০১৭ সালের পর থেকে জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রথম ঘটনা এটি।
উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে আগেই নির্দেশ দিয়েছে জাতিসংঘ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ৭টা ২৯ মিনিটে জাপান সরকার সতর্কতা জারি করে জানায়, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে মনে হচ্ছে। অনুগ্রহপূর্বক ভবনের ভেতরে কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান।
জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার গভীরে পড়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকে ‘হিংসাত্মক আচরণ’ আখ্যায়িত করেছেন তিনি। জাপান সরকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকও ডাকে এ ঘটনায়।
কোনো পূর্ব-সতর্কতা বা পরামর্শ ছাড়াই অন্য দেশের দিকে কিংবা তার ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। বেশির ভাগ দেশ এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলে। কারণ এটি করলে সহজেই তা আক্রমণ হিসেবে গণ্য হবে।