দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সম্প্রতি রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের কাছে কিছু অঞ্চল হারিয়েছে। কিন্তু তারপরও ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ধ্বংস ও হত্যার মতো নিকৃষ্ট কাজ অব্যাহত রেখেছে তারা। 

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ও শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ইউক্রেনের একাধিক শহরে কামান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এবং কিছু সামরিক বিশ্লেষক জানায়, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চল থেকে পিছু হটছে। ফলে তারা ইউক্রেনীয় অবকাঠামো ধ্বংস করতে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে পড়েছে। বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে আরও নির্বিচার বাড়ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে মস্কোর ক্ষতির জন্য দূরপাল্লার যুদ্ধাস্ত্রের সুবিধা ব্যবহার করে ইউক্রেনকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

ইউক্রেনের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান ভ্যালেন্টিন রেজনিচেঙ্কো জানান, রাতারাতি প্রায় ৪০টি রাশিয়ান রকেট ডিনিপ্রো নদীর তীরে নিকোপোলে আঘাত করে। এই হামলায় অন্তত ১০টি বেসামরিক বাড়ি, বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আরও গোলাবর্ষণে একজন নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, ইরানের তৈরি 'কামিকাজে' ড্রোন জাপোরিঝিয়া এবং মাইকোলাইভ শহরে আঘাত করেছে। আঞ্চলিক পুলিশ জানিয়েছে, খেরসন অঞ্চলের বেরিসলাভ জেলার বেসামরিক লোকদের উপর রাশিয়ান আর্টিলারি আঘাত করে। এই হামলায় কতজন নিহত বা আহত হয়েছে তা জানা যায়নি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাপোরিঝজিয়ায় বৃহস্পতিবারে একটি আবাসিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার সময় উদ্ধারকর্মীরা আরও লাশ খুঁজে পেয়েছেন। এ পর্যন্ত দুইটি শিশুসহ ১২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে তারা। ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভবত আরও মানুষ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।