তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে খুব দ্রুত-চীনা রাষ্ট্রদূত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। আজ রোববার সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত তিস্তাপাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে।
এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল হক ভূঁইয়া, হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলাসহ আরও অনেকে।
এ বিষয়ে মোতাহার হোসেন বলেন, চীন তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে বেশ আগ্রহী। তারাই পারবে এই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। টেন্ডারে চীন ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আর ভারত ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচের কথা উল্লেখ করেছে। ভারত নিজেও কাজটি করবে না কাউকে করতেও দেবে না।
এ সময় চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা মি. ওয়াং ঝিহং, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মি. জিইউ ঝিকিন সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন।
উল্লেখ, শেখ হাসিনা সরকার যেমন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগ্রহী, তেমনি চীন সরকারও এগিয়ে এসেছে অর্থায়নে। ইতিমধ্যে অর্থের যোগান দিতেও আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদীর ডান-বাম উভয় তীর ঘেঁষে ২২০ কিলোমিটার উঁচু গাইড বাঁধ, রিভার ড্রাইভ, হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ, পর্যটন কেন্দ্র, ১৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প-কারখানা, ইপিজেড, ইকোনমিক জোন, কয়েক লাখ হেক্টর কৃষি জমি উদ্ধার, বনায়ন ইত্যাদি রয়েছে। এতে পাল্টে যাবে তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষজনের জীবনমান।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।