দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাজে ব্যাটিংয়ে পরাজয়ের পথ গড়েই রেখেছিল বাংলাদেশ। বোলাররা খুব একটা খারাপ না করলেও, মাত্র ১৩৭ রানের পুঁজি নিয়ে জেতার জন্য তা মোটেও পর্যাপ্ত ছিলো না। যে কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজেন দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের বিশাল হার বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে যাও বা লড়াই করেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু আজ দ্বিতীয় ম্যাচে সেটিও দেখাতে পারেনি সাকিবের দল। 

 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ধাক্কাটা খেয়েছিল ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরেছিলেন টিম সাউদির শিকার হয়ে। এরপর তিনে আসেন লিটন, তবে শেষ কিছুদিনের ছন্দটা এদিন যেন তার ব্যাট থেকে হারিয়ে গিয়েছিল আজ। ১৬ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলে মাইকেল ব্রেসওয়েলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে হাঁসফাঁস করেছেন প্রায় পুরোটা সময় ধরেই।

সাকিব খেলবেন চারে, এমন একটা কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ, তবে আজ সাকিব নেমেছেন সাতে। তার আগে একে একে উইকেটে গিয়েছেন আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন আর ইয়াসির আলী। আফিফ বাদে দুই অঙ্কে যেতে পারেননি একজনও। ৯৩ ছোঁয়া স্ট্রাইক রেটটা হিসেবে আনলে আফিফকেও মোটাদাগে ব্যর্থই বলা চলে।

টুর্নামেন্ট শুরুর এক দিন আগে দলে যোগ দেওয়া সাকিব আজই প্রথম নামেন দলের হয়ে। তিনিও খুব বেশি কিছু করতে পারেননি, ১৬ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে যখন বিদায় নিচ্ছেন, অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। সেখান থেকে বাংলাদেশ যে ১৩৭ রানের পুঁজি পেয়েছে, তাতে পুরো কৃতিত্বটা উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের। শেষ স্বীকৃত এই ব্যাটারের ব্যাটেই বাংলাদেশ পায় ইনিংসের প্রথম ২০০ স্ট্রাইক রেট ছোঁয়া ইনিংস, ১২ বলে তিনি করেন ২৫ রান, ১ চারের বিপরীতে তিনি হাঁকান দুটো ছক্কা। তাতে হতশ্রী ব্যাটিংয়ের পরও বাংলাদেশ পায় ১৩৭ রানের ‘লড়াইয়ের মতো’ পুঁজি।