খালেদা জিয়া অংশ নিতে না পারলে দেশে নির্বাচন হবেনা-গয়েশ্বর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: যে নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না, সেই নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কদমতলী লালপুর মসজিদ সংলগ্ন সড়কে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জোন-৮ (শ্যামপুর-কদমতলী) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতা নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের দেশে একজন বেআইনি মন্ত্রী আছেন, আইনমন্ত্রী। নির্বাচনে পাস করেনি, বেআইনি মন্ত্রী না? তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবে না। আইনমন্ত্রী বেআইনি ভাষায় কথা বলা বন্ধ করেন। নিজে আইন মতো সরকারে আসেননি, এসেছেন বেআইনিভাবে। সুতরাং পথ খোলা আছে, এখনও সময় আছে, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে দিয়ে সোজা ঘরে ঢুকে যান।
তিনি বলেন, এই সরকার লুণ্ঠনকারীদের সরকার। এই সরকার নারী পাচারকারীদের সরকার। এই সরকার মুদ্রা পাচারকারীদের সরকার। সুতরাং এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই। সে কারণে আজকে জনগণের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সরকারকে বিদায় করা, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। দেশের মালিক জনগণ। তাদের হাতে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, এখন থেকে আমরা তালিকা করব। কোনো কোনো সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা অন্যায়ভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। আপনারা জনগণের টাকায় চলেন, আপনার সন্তান লেখাপড়া করে। সুতরাং জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না। শেখ হাসিনার পক্ষে থাকলে কারও জন্য মঙ্গল না, দেশের জন্যও মঙ্গল না।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথম দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। দ্বিতীয় দাবি এই পার্লামেন্ট বাতিল। তৃতীয় দাবি এই নির্বাচন কমিশনকে বিতাড়িত করতে হবে। চতুর্থ দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। তার জন্যই আমাদের আন্দোলন। এই সংগ্রাম বিএনপির একক সংগ্রাম নয়, এ দাবি জনগণের দাবি। জনগণ বিএনপির পাশে আছে। সফল আমরা হব, বিজয়ী হব। অতীতের সব ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের হাতে বিদায় নিয়েছে, এই সরকারকেও বিদায় নিতে হবে। সেই বিদায় কতটা করুণভাবে নেবে, নাকি স্বাভাবিকভাবে নেবে সেই সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা সাবেক এমপি সালাহ উদ্দীন আহমেদ, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনু, ইউনূস মৃধা, ইশরাক হোসেন, বাবুল রানা, মীর হোসেন মীরু, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, গোলাম মাওলা শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাজিব আহসান, শ্রমিক দল নেতা মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার প্রমুখ।