কোহলিকে গ্রেপ্তারের দাবি কেন?
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার পর ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। এরপর আর শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি তাদের। তবুও বিশ্বকাপ এলেই শক্তিশালী ভারতের প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে। সমর্থকদের অনেকে রোহিত শর্মার নেতৃত্বধীন দলটিকে ঘিরে শিরোপা পুনরুদ্ধারের স্বপ্নও দেখছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন শনিবার (১৫ অক্টোবর) হঠাৎ ঘটলো এক ঘটনা। এদিন সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলিকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। ‘অ্যারেস্ট কোহলি’ ট্রেন্ডিংয়ে সরব গোটা নেট দুনিয়া। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করা কোহলির দোষটা আসলে কোথায়?
ঘটনার সূত্রপাত ভারতের তামিলনাডুতে। যেখানে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মধ্যে কে বেশি ভালো এমন তর্ক চলাকালে কোহলি সমর্থকের হাতে খুন হন রোহিত শর্মার ভক্ত। এর পর থেকেই কোহলিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে পি ভিগনেশ এবং ধর্মরাজ নামের দুই বন্ধু মদ্যপ অবস্থায় কোহলি ও রোহিতকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ভিগনেশ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং রোহিত শর্মাকে সমর্থন করছিলেন। অন্যদিকে, ধর্মরাজ রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কট্টর ভক্ত ছিলেন।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে বোতল নিয়ে ভিগনেশকে মেরেছিলেন ধর্মরাজ। তারপর ক্রিকেট ব্যাট দিয়েও মাথায় মারেন।তিনি। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে প্রাণ হারান ভিগনেশ।
পরের দিন বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে ভিগনেশের মরদেহ উদ্ধার করেন কয়েকজন দিনমজুর। সিডকো ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় তারা খুঁজে পান ভিগনেশের মৃতদেহ। তারাই খবর দেন স্থানীয় পুলিশকে। পুলিশ তারপরে ভিগনেশের মরদেহ আরিয়ালুরের সরকারি হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। তারপরেই একটি মামলা রুজু করা হয়। পরে অভিযুক্ত ধর্মরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনার পর থেকেই হ্যাশট্যাগ অ্যারেস্ট কোহলি এমন দাবি তোলা হয় টুইটারে। কিন্তু কেন কোহলিকে গ্রেফতারে দাবি উঠছে তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই। প্রিয় ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করা নিয়ে বেশ বিরক্ত তারা। দুই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা থেকে এমন নৃশংস খুনের ঘটনায় অবাক ক্রীড়ামহলও।