দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে শরীয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট  শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল) বিধিমালা, ২০২২ নামের এই বিধিমালার গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিধিমালা অনুসারে, এখন থেকে সব ধরনের শরীয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের কার্যক্রম পরিচালিত হবে আলোচিত কাউন্সিলের অধীনে। মোট ৯ জন সদস্য নিয়ে এই কাউন্সিল গঠিত হবে, যেখানে কমপক্ষে ৫ জন সদস্য হবেন শরীয়াহ সংক্রান্ত স্কলার। আর বিভিন্ন খাত, বিশেষ করে সিকিউরিটিজ মার্কেট, ফাইন্যান্স/ব্যাংকিং, আইন ও অ্যাকাউন্টিং খাতের বিশেষজ্ঞদের মধ্য থেকে বাকী সদস্য মনোনীত করা হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কাউন্সিলের সদস্যদের মনোনীত করবেন। আর এই কাউন্সিলের শরীয়াহ বেত্তাদের ভোটে এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মেয়াদ হবে ৩ বছর। একজন সদস্য পর পর দুই মেয়াদের জন্য মনোনীত হতে পারবেন। তবে বিএসইসি চাইলে দুই মেয়াদের পর এক মেয়াদের বিরতি দিয়ে আবারও যে কোনো ব্যক্তিকে কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত করতে পারবে।

শরীয়াহ স্কলার সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেতে হলে ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে দাওরায়ে হাদিস, কামেল অথবা ইসলামিক স্টাডিজ/ফিকহা অথবা ইসলামিক আইনে স্নাতকোত্তর হতে হবে। আর সংশ্লিষ্ট খাতে থাকতে হবে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ সদস্যদের ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ব্যবসায় অনুষদের যে কোনো বিভাগ অথবা ইসলামিক ফাইন্যান্স, অর্থনীতি অথবা আইনে স্নাতকোত্তর। আর সংশ্লিষ্ট খাতের উপর কমপক্ষ্যে একটা সার্টিফিকেট কোর্স করা থাকতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট খাতে কাজ করার ন্যুনতম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ১০ বছর।

কমপক্ষে ৫ জন সদস্যের অংশগ্রহণে কাউন্সিলের মিটিংয়ের কোরাম পূর্ণ হবে। তবে এই সদস্যদের মধ্যে কমপক্ষে ৩ জনকে হতে হবে শরীয়াহ স্কলার সদস্য। এরা স্বশরীরে অথবা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবেন। কাউন্সিলে প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট থাকবে। আর সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে যে কোনো সিদ্ধান্ত পাশ হবে। তবে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান যদি মনে করেন বিষয়টি শরীয়াহ সংক্রান্ত তাহলে শুধু শরীয়াহ স্কলাররা ভোট দিতে পারবেন।

কর্মপরিধি অনুসারে, শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের কাজ হবে বিএসইসির চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন ইস্যুতে পরামর্শ দেওয়া, শরীয়াহ সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন, ইসলামী শরীয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের মান প্রণয়ন, কোনো সিকিউরিটিজ শরীয়াহসম্মত কি-না সে বিষয়ে মতামত দেওয়া।