দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে এক বছরের বেশি সময় ধরে গুঞ্জন ছিল— আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি চলছে। কোম্পানিটির ব্যবসা ও আর্থিক অবস্থার উন্নতির কারণে নয়, বরং কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বেড়েছে। অবশেষে তদন্ত সাপেক্ষে কোম্পানিটির শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় এনেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এবার আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আবুল খায়ের হিরু এবং তার সহযোগীদের দেড় কোটি টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

সম্প্রতি নিয়মিত কমিশন সভায় আবুল খায়ের হিরু এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসইসির সিদ্ধান্তে জানানো হয়, আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ এর (ই)(৫)(৩)(২) ভঙ্গের জন্য মো. আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের মোট ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে চলতি বছরের আগস্টে বিডিকম অনলাইন, ওয়ান ব্যাংক, ফরচুন শু, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে আবুল খায়ের হিরুসহ তার সহযোগীদের (স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, বাবা আবুল কালাম মাতবর, বোন কনিকা আফরোজ, শ্যালক কাজী ফরিদ হাসান, তার কোম্পানি মোনার্ক হোল্ডিং, ডিআইটি কো-অপারেটিভ এবং দেশ আইডিয়াল ট্রাস্ট) মোট ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। আবুল খায়ের সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার। ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এ পদে যোগ দেন।