দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ। গত বছর থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর জন্মদিন (১৮ অক্টোবর) ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’

ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ছাড়াও ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি ঘিরে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সাথে তিনি সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সব স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি দিবসটিকে ঘিরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের আহ্বানও জানিয়েছেন।

এদিকে আজ জাতীয়ভাবে সারাদেশে একযোগে এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে শেখ রাসেল দিবস, ২০২২ পালিত হবে। দিনটি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ওইদিন সকাল ৬টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর সকাল সাড়ে ছয়টায় স্ব স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অব ফেম-এ শেখ রাসেল দিবসের উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন।

এছাড়া বেলা আড়াইটায় একই স্থানে ‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ড ন্যায়বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়’ শীর্ষক একটি জাতীয় সেমিনার, সন্ধ্যা ৬টায় ‘কনসার্ট ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচিও পালিত হবে। দিবসটিকে ঘিরে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন, দাবা, জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেলও। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও সেদিন হত্যা করেছিল।