দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের পর নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ডিএসইতে ট্রেডিং কোড হলো—‘NAVANAPHAR’ এবং কোম্পানি কোড হলো—১৮৪৯৭।

কোম্পানিটির আইপিওতে বরাদ্দ দেওয়া শেয়ার রোববার (১৬ অক্টোবর) বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে জমা হয়েছে। এর আগে কোম্পানিটির আইপিওতে ১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়।

কোম্পানির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস নির্ধারণের লক্ষ্যে গত ৪ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিডিং হয়। নিলামে ২৮১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। এতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠে ৩৪ টাকা। সর্বনিম্ন দাম প্রস্তাব করা হয় ২০ টাকা। সর্বশেষ কোম্পানির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ হয়েছে ৩৪ টাকা।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বিডিং কার্যক্রমে এ মূল্য নির্ধারণ হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, কাট-অব প্রাইসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানি ৭৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

গত ৮ জুন বিএসইসির ৮২৬তম কমিশনের সভায় নাভানা ফার্মার বিডিং করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭৫ কোটি টাকা বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ অনুযায়ী আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করার প্রস্তাব অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়। এই অর্থ উত্তোলন করে কোম্পানি নতুন সাধারণ উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্পোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করবে।

২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত (নয় মাস) কোম্পানির আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ৪৩.৫৩ টাকা, পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৯.০২ টাকা। আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২.৩৯ টাকা। বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২.৫১৬ টাকা। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের কাট-অব প্রাইস থেকে ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে সাধারণ বিনিযোগকারীদের কাছে শেয়ার ইস্যু করবে।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ফেয়ার ভ্যালুর ওপর ২০ শতাংশ প্রিমিয়ামে (সর্বোচ্চ বিডিং সীমা) কর্মচারী ও অন্যান্যদের কাছে ১৫ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করবে, যা ২ বছর লকইন এ থাকবে। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্টস এবং ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।