এ যাত্রা সহজ ছিলোনা-করিম বেনজেমা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক:ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গেই ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন করিম বেনজেমা। পর্তুগিজ উইঙ্গারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাকে রেখেছিল আড়াল করে। ২০১৮ সালে যখন রোনালদো ছেড়ে দিলেন মাদ্রিদ ক্লাব, তখনই ছায়া থেকে বেরিয়ে এলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। হাল ছাড়েননি এক মুহূর্তের জন্যও। নিজের ফুটবল উপভোগ করেছেন, তাতে করেছেন বাজিমাত। হারিয়ে যাননি বলেই ব্ল্যাকমেইল বিতর্কে সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি নিষিদ্ধ থাকার পর ফ্রান্সের জাতীয় দলে ফিরতে পেরেছিলেন।
সোমবার পেলেন দমে না গিয়ে একাগ্রচিত্তে নিজের কাজটা করে যাওয়ার পুরস্কার। একজন ফুটবলারের ব্যক্তিগত জীবনের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কার ব্যালন ডি’অর হাতে নিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। এই যাত্রা খুব সহজ ছিল না বললেন ২০০৪ সালে লিওঁর হয়ে পেশাদার ফুটবলশুরু করা বেনজেমা।
১৯৫৬ সালের স্ট্যানলি ম্যাথুসের পর সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যালন ডি’অর জয়ী হলেন ৩৪ বছরের বেনজেমা। সবশেষ ফরাসি ব্যালন ডি’অর জয়ী জিনেদিন জিদানের কাছ থেকে সোনালি ট্রফিটি হাতে তুলে নেন তিনি। এতদিনের দীর্ঘ যাত্রা শেষে পেলেন সেই অমোঘ অর্জনের দেখা, ‘এটা আমাকে সত্যিই গর্বিত করেছে, আমি কখনও হাল ছাড়িনি। আমার জীবনে দুজন রোল মডেল ছিলেন, জিদান ও রোনালদো। আমি সবসময় স্বপ্ন দেখতাম, সবকিছু সম্ভব। একটা কঠিন সময় ছিল যখন আমি ফরাসি জাতীয় দলে ছিলাম না। কিন্তু আমি খেটেছি অনেক, দমে যাইনি। কোনোদিকে না তাকিয়ে কেবল খেলা উপভোগ করেছি।’
বেনজেমা আরও বলেন, ‘এই পর্যন্ত আমার যাত্রায় আমি গর্বিত। এটা সহজ ছিল না, কঠিন ছিল, আমার ও আমার পরিবারের জন্য। বয়স আমার জন্য কেবল সংখ্যা। আমার মনে এখনও তীব্র আকাঙ্ক্ষা। এটাই আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। আমার স্বপ্ন এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে।’
গত মৌসুমে রিয়ালের জার্সিতে ৪৬ ম্যাচে করেন ৪৪ গোল। দলকে লা লিগা জেতাতে ৩২ ম্যাচে করেন ২৭ গোল। রোনালদো উত্তর যুগেমাদ্রিদ ক্লাবকে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার পথে করেছেন ১৫ গোল, সেখানে করেছেন সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ডও। বলা যায়, তিনিই রিয়ালের দুটি সাফল্যের নায়ক। কিন্তু একা কৃতিত্ব নিতে চান না বেনজেমা, ‘এটা সবার মিলিত বিজয়। এটা ব্যক্তিগত ট্রফি, কিন্তু সতীর্থদের ছাড়া আপনি গোল করতে পারবেন না। ফুটবল দলগত খেলা এবং আমি সবসময় দলের খেলোয়াড় থাকবো।’