সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ,মিছিলে মুখর খুলনা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই দলটির নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোনালী ব্যাংক চত্বরের সমাবেশ অভিমুখে রওনা হয়েছেন।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৮টার মধ্যে নগরীর ডাকবাংলা মোড়, পিকচার প্যালেস, ফেরিঘাট, শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখা গেছে। সমাবেশে নেতাকর্মীদের যোগদান ঠেকাতে খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বাস, লাঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। পরিবহন সংক্রান্ত সব বাধা উপেক্ষা করেই সমাবেশে খুলনা বিভাগের পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে দলটির নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাতের মধ্যেই সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। আজ সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশস্থলে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। অনেকে ফেসবুকে লাইভ দিচ্ছেন, সেলফি তুলছেন। সহকর্মীদের পরিস্থিতি জানাচ্ছেন। তাদের সময় কাটছে গল্প-আড্ডা, গান আর শ্লোগানে।
এর আগে শুক্রবার বিকাল থেকেই কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রেনে ও সাতক্ষীরা, নড়াইল, খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা উপজেলা থেকে ট্রলারে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খুলনার সাথে ১৮টি রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, লঞ্চ চলাচল ট্রলার পারাপার বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও গণসমাবেশ জনস্রোতে পরিণত হবে।
জানা যায়, সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জুড়ে টানানো হয়েছে ১২০টি মাইক। ৮টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে প্রজেক্টর। সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। থাকবে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি। শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করবে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।