সমাবেশ ঘিরে পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে নেয়ার চেষ্টা চলছে-মির্জা ফখরুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খুলনায় আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির গণসমাবেশ। রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন সমাবেশ ঘিরে পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে নেয়ার চেষ্টা চলছে। তেমনটি হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, গণপরিবহন বন্ধ ও গ্রেপ্তারেও ঠেকানো যাবে না খুলনার সমাবেশ।
নেতাকর্মীদের হাতে ছিল বাঁশের লাঠির পতাকা। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।
সমাবেশস্থলে গিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, গণসমাবেশ ঠেকাতে আওয়ামী লীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। খুলনার সঙ্গে ১৮টি রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও খুলনায় গণসমাবেশ স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনস্রোতে পরিণত হবে।
শনিবার বেলা ১২টা থেকে বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে। ইতোমধ্যেই খুলনার ১০টি জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসে পৌঁছেছে। রাতে থাকার জায়গা না থাকায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি অফিসের সামনে এবং সোনালী ব্যাংক চত্বরেই অবস্থান নেবেন নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের পর শনিবার খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশ সফল করতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এরইমধ্যে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে হয় শোডাউন।
এর আগে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় বন্ধ রয়েছে যান চালাচল। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে, আটক করা হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের।
এদিকে খুলনায় দু’দিনের বাস-লঞ্চ ধর্মঘটে ভোগান্তিতে আছেন সাধারণ মানুষ। সোনাডাঙ্গা টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন অনেকেই। বন্ধ রাখা হয়েছে খুলনার আঞ্চলিক নৌ রুটের লঞ্চ ও ট্রলার চলাচলও। এছাড়া বাগেরহাট, সাতক্ষীরা থেকে খুলনাগামী বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ খুলনাগামী বাস থেমে যাচ্ছে যশোরে। বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির দাবি, সরকারের নির্দেশে নয় বরং মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধের দাবিতে বাস বন্ধ রেখেছেন তারা।