দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অথরাইজড রিপ্রেজেন্টটেটিভদের (অনুমোদিত প্রতিনিধি) হতে হবে দক্ষ। কারণ, আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করছে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ সুরক্ষা।’

রাজধানীর অগারগাঁওয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বিএসইসি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৬ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এ কর্মশালা হয়েছে। কর্মশালায় সিএসই’র বিভিন্ন ব্রোকারেজের প্রায় ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।

রোববার (২৩ অক্টোবর) সিএসই থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্মশালার সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি) রিপন কুমার দেবনাথ। অনুষ্ঠনে বিএসইসি, সিএসই ও সিডিবিএলের কর্মকর্তারা সিকিউরিটিজ আইন ও পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি এ ধরনের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে নিজেই যাচিত হয়ে উপস্থিত হতে চাই এবং আপনাদেরকে এই প্রশিক্ষণের মূল বিবেচ্য বিষয়গুলো জানাতে চাই। আপনারা অর্থাৎ অথরাইজড রিপ্রেজেন্টটেটিভরা ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনারা সরাসরি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যুক্ত। সে ক্ষেত্রে আপনাদের বিশেষ ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে এবং তার ব্যাবহার করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। অথরাইজড রিপ্রেজেন্টটেটিভ ম্যানুয়াল অনুযায়ী আপনাদেরকে চারটি গুণের কথা মনে রাখতে হবে। সেগুলো হলো—সততা, দক্ষতা, বিশ্বস্ততা এবং আস্থা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, আমরা সবাই সৎ এবং এটা সবারই নিজস্ব গুণ। বরং অসৎ হওয়া কঠিন, যদি না তেমন কোনো পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই, সততা ধরে রাখতে হবে। একই সঙ্গে আপনাকে হতে হবে দক্ষ। কারণ, আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করছে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ সুরক্ষা। যে বিনিয়োগকারী দেশের বাইরে থেকে আপনার ওপর ভরসা করে বিনিয়োগ করেছেন, তিনি কতখানি লভবান বা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, তা নির্ভর করছে আপনার দক্ষতার ওপর। এই দক্ষতার ওপর বিনিয়োগকারীর সফলতা নির্ভর করে। অথরাইজড রিপ্রেজেন্টটেটিভ প্রশিক্ষণ হচ্ছে দক্ষতা অর্জনের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ। দক্ষতা অর্জন করতে হলে সারা পৃথিবীর জ্ঞান সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।’

শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে কী ঘটছে, তা জানা খুব সহজ এবং সময়ও লাগে অনেক কম। তাই, আপনাকে শিখতে হবে এবং দক্ষ হতে হবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। পরের গুণ হল বিশ্বস্ততা। এই বিশ্বস্ততাকে প্রবলভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। যে বিনিয়োগকারী দেশের বাইরে থাকেন, তার বিনিয়োগ সুরক্ষা করে তার বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। চার নম্বর বিবেচ্য বিষয়টি হলো—আস্থা। যখন আপনি দক্ষতা, বিশ্বাস আর সততা দিয়ে সুনাম অর্জন করতে পারবেন, তখনই আপনার ওপর আস্থা বাড়বে।’

উল্লেখ্য, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ৪(২)(গ) অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজের কার্যাবলী পরিচালনার শর্তসাপেক্ষে প্রত্যেক অথরাইজড রিপ্রেজেন্টটেটিভদের জন্য এ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক।