মাহি হাসান,দ্য রিপোর্ট:  কমোডিটি একচেঞ্জ সম্পর্কে ধারণা নিতে ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া (এমসিএক্স) পরিদর্শন শেষ করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ। এ সফরে সিএসই’র ৫ জন সদস্য ছিলেন। যার মধ্যে রয়েছেন সিএসইর পরিচালক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই ২৪ নভেম্বর । গত ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সিএসইর পরিদর্শন দল ভারতের এমসিএক্স পরিদর্শন করেছে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষের প্রায় ১ মাস আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন সিএসইর এই পরিচালক।

মেয়াদ শেষ হবার ১ মাস আগে এই প্রশিক্ষণ কি কাজে লাগবে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। অনেকে বলছেন, এ ধরণের সফর হওয়া উচিত ফলপ্রসু। কোন ব্যক্তির মেয়াদের ১ মাস আগে এই সফর প্রতিষ্ঠানে কতটুকু ফলাফল দিতে পারে এই প্রশ্ন উঠেছে। ডিএসই-সিএসই এধরনের সফর নিয়ে এমনিই নানান ধরনের আলোচনা চলে। অনেকে এসব সফরকে "প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বনভোজন" বলেও উপহাস করে থাকে। এবার বাস্তবেও এমন দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে কথা বলতে মেজর(অব) ইমদাদুল ইসলামকে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, বাকি ৪, জন যারা ছিলেন প্রত্যেকে টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের। তিনি তাদের টিম লিডার হিসেবে গিয়েছেন। এমন কিছু নেই যে তার শিখতে হবে। পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তারা। যেহেতু তিনি কমোডোটি একচেঞ্জের শুরু থেকে জড়িত ছিলেন তার যাওয়াটা জরুরি ছিলো বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, "এমসিএক্সের সাথে বাই লেটারাল যে চুক্তি হয়েছে সেটি ইমপ্লিমেন্টের ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়েছিলো এই টিম। এটি কোন প্রশিক্ষন ছিলো না"। এ ব্যাপারে কথা বলতে চিটাগং স্টক একচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সিএসইর পরিচালক মেজর(অব) এমদাদুল ইসলাম মেয়াদ ২৪ নভেম্বর শেষ হবে তবুও তিনি প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে কেনো? এই প্রশ্ন সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে করা হলে তিনি বলেন, "কমোডোটি একচেঞ্জের সাথে সংশ্লিষ্টরাই সফরে গেছেন"। ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়া স্বত্তেও তার এই সফরে না যাওয়ার কারন কি? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন অফিসে কাজ থাকায় যেতে পারেননি। ২৪ নভেম্বর সিএইসি পরিচালকমেজর(অব) এমদাদুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হবার ব্যপারটি নিশ্চিত করেন তিনি। এছাড়া আর কোন মন্তব্য করেন নি সিএসই ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

উল্লেখ্য, এছাড়া সিএসই প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন, ডিজিএম অ্যান্ড হেড অফ আইটি মো. মেজবাহ উদ্দিন; ডিজিএম অ্যান্ড হেড অফ ট্রেক মার্কেটিং এন্ড সার্ভেসিং মোঃ মর্তুজা আলম; ডিজিএম অ্যান্ড হেড অফ প্রমোশন মো. মনিরুল হক এবং ডেপুটি ম্যানেজার ফয়সাল হুদা।

এর আগে সিএসইর প্রতিনিধিদলটি ১৮ অক্টোবর তাদের পরিদর্শন সফর শুরু করে এবং এমসিএক্স দল আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। তাদের জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার সময় তারা পণ্য বিনিময়ের আরও উন্নয়নের জন্য প্রমিত ডেলিভারি সিস্টেম প্রক্রিয়া বোঝার জন্য ‘বুলিয়ন ভল্ট’ (ভল্ট পরিষেবা প্রদানকারী) পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শন সপ্তাহ শেষ দুইদিন প্রতিনিধি দল ‘ডেমো লাইভ ট্রেডিং অন ট্রেড ওয়ার্কস্টেশন’-এর অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এবং ‘ কৃষি গুদামজাতকরণ, গুদামের ভার্চুয়াল সফর, প্রক্রিয়া প্রবাহের উপর উপস্থাপনা’-এর মতো একটি উপস্থাপনা উপস্থাপন করা হয়। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিলো, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পণ্য বিনিময় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পণ্য, ক্লিয়ারিং এবং সেটেলমেন্ট, ট্রেডিং, গুদামজাতকরণ, নিয়ন্ত্রক দিক ইত্যাদি বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান সংগ্রহ করা।


দ্য রিপোর্ট/২৪ অক্টোবর/২২