সরে গেলেন বরিস তাহলে কি সুনাক পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ?
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চলতি সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার নির্বাচনে দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে তিনজন প্রতিযোগির মধ্যে বরিস জনসন সবচেয়ে আলোচনায় ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সাবেক এই ব্রটিশ প্রধানমন্ত্রী এবারের নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। রোববার স্থানীয় সময় রাতে এক বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরা।
বরিস জনসন সরে যাওয়ার পর ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল।
বিবৃতিতে বরিস জনসন জানান, পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা তাকে সমর্থন করা শর্তেও তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। আপাতত প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ে থাকা ঠিক হবে না বলে মনে করছেন তিনি।
তিনি বলেন, পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা যদি একতাবদ্ধ না হন, তবে কার্যকরভাবে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
তবে এবার সরে দাঁড়ালেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বরিস জনসন। কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আগামী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে বিজয় এনে দিতে পারব।
বরিস জনসন সরে দাঁড়ানোয় এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ব্রিটেনের বেশ কিছু প্রভাবশালী পত্রিকা ঋষি সুনাকের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ প্রথম পাতায় খবর ছাপিয়েছে।
এর আগে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর এ পদে আসিন হন লিজ ট্রাস। কিন্তু অর্থনীতি পুনুরুদ্ধারে তিনি যে বাজেট পেশ করেছেন তা তার গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে নিজের অক্ষমতা ঢাকতে তারই নিয়োগ দেওয়া অর্থমন্ত্রীকে চাকরি চ্যুত করেন। এরপর লিজ ট্রাসও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার গ্রহণযোগ্যতা হারান। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেও লাভ হয়নি। পদত্যাগের পথে তাকেও হাঁটতে হয়েছে।
এ ঘটনার পরই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়। এ দৌড়ে যে ক’জনের নাম উচ্চারিত হচ্ছিল তাঁদের মধ্যে বরিস জনসনও ছিলেন। তবে রোববার রাতে এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান। এতে তিনি বলেন, আপাতত প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ে থাকা ঠিক হবে না। কারণ পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা যদি একতাবদ্ধ না হন তবে কার্যকরভাবে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।