দ্য রিপোর্ট ডেস্ক:  ঘূর্ণিঝড়ে গহীন সুন্দরবনে আটকা পড়েছেন বনবিভাগের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী। ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই তারা লোকালয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নদী উত্তাল থাকায় সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সুন্দরবনের নীলকমল ও হলদেবুনিয়া অভয়ারণ্য কেন্দ্রে ১৩ জন এবং মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান করছেন। তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন বন কর্মকর্তারা।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ মহসিন হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে নীল কমলে ছয়জন, মান্দারবাড়িয়ায় পাঁচজন এবং হলদেবুনিয়ায় সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। দিনের বেলা তারা লোকালয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নদী উত্তাল থাকায় ফিরতে পারেননি। ওয়ারলেসের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর নিয়েছি। সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং নদী খুবই উত্তাল। তবে আশার কথা হচ্ছে, ভোরে যখন ঝড় অতিক্রম করবে তখন ওইখানে ভাটা থাকবে। হলদেবুনিয়া হচ্ছে দেশের সর্বশেষ সরকারি স্থাপনা। এরপরে বঙ্গোপসাগর। নীলকমলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও মোংলা বন্দরের কিছু স্থাপনা আছে কিন্তু হলদেবুনিয়া ও বান্দারবাড়িয়াতে কিছুই নেই। দুর্গম এলাকা হওয়ায় তাদের নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’

কালাবগী ফরেস্ট অফিসের স্টেশন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন,‘ঘূর্ণিঝড়ে কালাবগীর ঝুলন্ত পাড়ার বাসিন্দারা আতংকে ছিলেন। তাদের উদ্ধার করে ফরেস্ট অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।’