চিনি নিয়ে কারসাজি করায় ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের বাজারে হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চিনির বাজার। সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি বিক্রি করছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে চিনি নিয়ে কারসাজি ও কৃত্রিম সংকটকারীদের ধরতে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় বেশি দামে চিনি বিক্রি, মজুতের অপরাধে ২৭৮ প্রতিষ্ঠানকে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর সারাদেশে চিনির বাজারে ১০৩টি তদারকি ও অভিযান করে এ জরিমানা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংকটের কথা বলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা বলছেন, জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা খেলায় মেতেছেন। তারা সরকারের কোনো নিয়ম-নীতি মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে চিনির উৎপাদন কমেছে। যে কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
জানা যায়,গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।
বর্তমানে দেশে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। যার সিংহভাগই আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছিল। চলতি ২০২২ সালের ইতিমধ্যে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি সম্পূর্ণ হয়েছে।