তিনটা সমাবেশ করাতেই সরকারের কম্পন শুরু হয়েছে- মির্জা ফখরুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সমাবেশে বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনটা সমাবেশ করাতেই সরকারের কম্পন শুরু হয়েছে। এত কাঁপাকাঁপি শুরু হয়েছে যে সমাবেশ বন্ধ করার জন্য পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছেন। লজ্জা করে না আপনাদের! কী কাপুরুষ আপনারা? বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বন্ধ করার জন্য সব ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে দিতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে এখানে কোনো নির্বাচন হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে যুবদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে সরকারের দুর্নীতি। প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন চুুরি করেছে যে এই ১৪ বছরে অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। পায়রা বন্দর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বন্দর কাজে লাগবে না। কারণ এখানে জাহাজ আসার জন্য যে পানির দরকার, সেই গভীরতা নাই। সরকার সেখানে সুপার ড্রেজার লাগিয়েছে। এই সুপার ড্রেজারের জন্য আরও সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে চুরির ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ধর্মঘট ডেকেছে। সেই ধর্মঘট দিয়ে কী গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকে রাখতে পেরেছে? পারেনি। জনগণ তাদের দাবি জানাতে হেঁটে বিভিন্নভাবে সমাবেশে এসে উপস্থিত হয়েছে। বরিশালে ধর্মঘট দিয়েছে, রংপুরে ধর্মঘট দিয়েছে কেন, যাতে জনসমাবেশ বন্ধ করা যায়?
নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন করেছে, যাকে ডিসি-এসপিরা মানে না। তারা নির্বাচন করতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের আগে হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। পরিষ্কার কথা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে এখানে কোনো নির্বাচন হবে না।
রিজার্ভের টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, রিজার্ভের টাকা পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য নয়। রির্জাভের টাকা হচ্ছে বিদেশ থেকে যে আমদানি করবেন, তা ডলার দিয়ে পরিশোধ করবেন। দেশে যখন ক্রাইসিস দেখা দেবে তখন খরচ করবেন।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।