বাংলাদেশ ভৌগোলিক কারণে মাদক সমস্যার কবলে পড়েছে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জাতীয় সংসদে বলেছেন, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিক কারণে মাদক সমস্যার কবলে পড়েছে।
আজ রোববার জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'আমাদের দেশে অবৈধ মাদক প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে। আলোচিত ইয়াবা আসে মিয়ানমার থেকে। ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ অনুপ্রবেশ করে।'
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট ও গডফাদারদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। এছাড়া মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে সরকার বহুমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে বহুল অপব্যবহৃত মাদক ইয়াবার প্রবাহ বন্ধে টেকনাফে ২৯ জন জনবল নিয়ে একটি বিশেষ জোন গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক পাচার হয়। এ কারণে মাদকের প্রবাহ প্রতিরোধে ভারতের সঙ্গে ৭টি ও মিয়ানমারের সঙ্গে এ পর্যন্ত ৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, '২০২১ সালে ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।'
মন্ত্রী আরও বলেন, '২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৫৫৪টি মামলা দায়ের করে ৮৩ হাজার ১২৩ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।'
মন্ত্রী বলেন, মাদক কারবারিদের দমনে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত, ২০২০)’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত, ২০২০)-এর ধারা ৬৩ অনুযায়ীও ৪টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৫৫৪টি মামলা দায়ের পূর্বক ৮৩ হাজার ১২৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।