দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, জনগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিতে পারে সেই ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ আমরা চাই। তার জন্য অবশ্যই আমরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছি। বিরোধী দলগুলো কিন্তু ইতোমধ্যে সেই দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলছে। দলীয় সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না এবং যাবো না।

রোববার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে নিজ দল গণ অধিকার পরিষদের নিবন্ধনের আবেদন জমা দিতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, নতুন দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তিনটি শর্তই জটিল। গণ অধিকার তা উত্তরণ করেছে। যদি একটি দলও নিবন্ধন পায়, তা হবে গণ অধিকার পরিষদ।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি যে আস্থার সংকট রয়েছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভোট নিয়ে জনমনে যে একটি সংকট রয়েছে, সেই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। নতুন আবেদনকারী দলগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন দিয়ে আগামীতে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য তারা এগিয়ে যাবে।

নিবন্ধন না পেলে কোনো জোটে অংশ নেবেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিনা ভোটের এবং ভোট ডাকাতির নির্বাচন এই দেশে ভবিষ্যতে আর হবে না। আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে অবশ্যই আমার নিবন্ধন পাব। আর যদি নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত করা হয়, সেটা আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্যই তারুণ্যের উত্থান এবং এই রাজনৈতিক দলের জন্ম। কাজেই প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই আমাদের সেই অধিকার অর্জন করব। আর নির্বাচনের প্রশ্নে এখন পর্যন্ত জোটের বিষয় নিয়ে ভাবছি না।

নিবন্ধনের বিষয়ে নুর বলেন, ২০২১ সালে ২৬ অক্টোবর গণ অধিকার পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে। ১৮ সালের কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করে এই দলের সূত্রপাত। আমাদের ছয়টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় যতগুলো কমিটি দরকার তাও আমাদের আছে।