দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে কিয়েভের প্রায় ৪০ শতাংশ আবাসিক ভবনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ আছে। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকোর বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

মেয়র বলেন, কিয়েভের প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। রাজধানীর ৪০ শতাংশ বাড়িতে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

সোমবার (৩১ অক্টােবর) ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় কিয়েভ ও অন্যান্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

মেয়র ক্লিটসকো বলেন, শহরের পূর্বাংশের পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে এবং রাজধানীর ডান (পশ্চিম) অংশ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।

‘বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা করছেন,’ যোগ করেন তিনি।

‘পরিস্থিতি বেশ কঠিন’ উল্লেখ করে মেয়র জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ার পরও লোডশেডিং চলবে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৪৪টি তারা ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বাকিগুলোর আঘাতে কিয়েভের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মস্কোর অভিযোগ, কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের ওপর ইউক্রেন ১৬টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ এই হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছে।

এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় করা শস্য চুক্তি স্থগিত করে রাশিয়া। তুরস্ক ও জাতিসংঘের এ চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল।