দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যে দাবি উঠেছে সেটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। 

জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস করার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সে দাবি করতেই পারে। এটা একটা বিষয় না। আসলে আমাদের এত দিবস, সেটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বিষয়।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাংলার হত্যার যে রাজনীতি তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি। তারাই (বিএনপি) বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড মেরে নেতাকর্মীদের হত্যাকারী। আমরা আজ এই কথা বলতে চাই— রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে আমাদের চেতনায় লালন করি, পালন করি, এজন্য আমাদেরকে বাংলার হত্যার রাজনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সেই লড়াই আমাদের চলছে।”

জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করার দাবিতে সোমবার (৩১ অক্টোবর) স্পিকারের বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।

ওই দিন তিনি তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন। অন্য দুটি দাবি হলো— ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক, সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সেই ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুনিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা। কটা পরিবারকে নিঃসঙ্গ করে দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বিদেশে। ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা।