দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বরিশাল জেলায় আগামী দুইদিন ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কারও চাপে নয় মূলত ‘আতঙ্কে’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভাড়ায় চলাচল করা মাইক্রো-প্রাইভেটকারের সংগঠন জেলা ট্যাক্সি ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, আগামী দুই দিন (৪ ও ৫ নভেম্বর) আমাদের তেমন কোনো ট্রিপ হবে না। এজন্য আমরা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে জরুরি সেবা যেমন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের সেবা দেব।

এই শ্রমিক নেতা বলেন, শহরে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় মাইক্রো চালকদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে যদি হামলা হয় তাহলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এই ক্ষতির মুখে যেন না পড়তে হয় এজন্যই আপাতত না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, জেলায় এই সমিতির আওতায় ৭০০ গাড়ি চলাচল করে।

ওদিকে দুপুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন মাইক্রো চালকের সঙ্গে। তারা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, মাইক্রোবাসের মালিক ৪ ও ৫ তারিখ কোথাও ট্রিপ না ধরার জন্য বলেছেন। তাছাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারাও আমাদেরকে গাড়ি বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন।

এই সংগঠনের সভাপতি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের সঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, এর আগে বরিশাল থেকে অভ্যান্তরীণ ও দূর পাল্লার বাস, ইজিবাইক চলাচল বন্ধ ঘোষণা দেন মালিক-শ্রমিকরা। বুধবার রাতে বন্ধ করা হয় স্পিডবোট সার্ভিস। আর বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়।

আগামী ৫ নভেম্বর বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই উপলক্ষ্যে দৃশ্যমান প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি। ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে লোকজন আসতে শুরু করেছে।