বরগুণায় বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ,দুর্ভোগ চরমে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বরগুনায় দুদিনের জন্য সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতি।
আজ (৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটের কথা নিশ্চিত করেছেন বরগুনা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছগির মিয়া।
অন্যদিকে এই দুদিন লঞ্চ শ্রমিকরা বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে লঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে লঞ্চ শ্রমিকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
বাস মালিক সমিতির নেতারা জানান, সড়কে থ্রি হুইলার ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাক দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, অটোরিকশার বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় যাত্রীবাহী বাস। এতে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেমন হয় তেমনি পরিবহন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। তাই তারা এই ধর্মঘট ডেকেছেন।
এদিকে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
নাজমুল হুদা নামে এক যাত্রী বলেন, চিকিৎসার জন্য ঢাকা যেতে হবে তাকে, কিন্তু বাস লঞ্চ সব চলাচল বন্ধ। বাস মালিকদের এমন খামখেয়ালিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রেখেছে, এমন যাত্রী হয়রানি বিশ্বের আর কোন দেশে নেই।
এদিকে বাস ও লঞ্চ ধর্মঘটের বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বলেন, বরিশালে বিএনপি'র বিভাগীয় সমাবেশ কেন্দ্র করে আতঙ্কে আওয়ামী লীগ। তাই বরগুনার বিএনপি'র নেতাকর্মীরা যেন সমাবেশে যোগদান করতে না পারে সেজন্য বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তারা। শুধু বরিশাল নয় প্রত্যেক বিভাগের সমাবেশের সময়েই এমন আচরণ করে আসছে ক্ষমতাসীনরা। বরগুনার লঞ্চ বরিশাল ঘাটে থামে না, তারপরেও লঞ্চ চলাচল পর্যন্ত বন্ধ রেখেছে। আমরা না হয় বিএনপি'র সমাবেশে যাব, কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের কি দোষ তাদের কেন আটকে রাখা হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করিনি। তবে এসবের জবাব আমরা ঠিকই দেব, জনগণের ভোটে সরকার গঠন করে।
এবিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে বাস ও লঞ্চ মালিকদের সাথে কথা বলবে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করা হবে।