দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আঙ্গুর, আপেলের মতো বিদেশি ফল না খেয়ে দেশি ফল কিনে সবাইকে খরচ কমানোর কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে আজ। বিশ্বজুড়ে বিপর্যস্ত অবস্থা। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয় এর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফল আমাদেরও ভোগ করতে হচ্ছে। সারা বিশ্বে এখন ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি।

রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছি। এরপরও আমাদের ওপর চাপ আসছে। সবকিছুতে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেট দিয়ে দেশকে ভালোভাবে চালাচ্ছিলাম। ভর্তুকি রেখেছিলাম বাজেটে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির জন্য চাহিদা বেড়ে গেছে। জ্বালানি তেলসহ সবকিছুতে অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। ফলে রিজার্ভেও প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

সবাই সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিলাস দ্রব্যের আমদানি কমাতে হবে। প্রয়োজনে এর ওপর ট্যাক্স বাড়াতে হবে।

ইউরোপের দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে তারা নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের নিজেদের আরও সচেতন হতে হবে। দামী গাড়ি, দামী জিনিস ব্যবহার করে খরচ বৃদ্ধি না করার কথাও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের জন্য খাদ্য পণ্যেও নানা সুবিধা দিচ্ছি। যার ফলে এ বছর ভর্তুকি দিতে হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মোট সরকারি ঋণ জিডিপির মাত্র ৩৬ শতাংশ। আর বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ জিডিপির মাত্র ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এই সরকার কোনোদিনই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের অর্থনীতি ধরে রাখতে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।