নিখোঁজ বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার,বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিনের শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রাথমিকভাবে একে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফারদিন নূরের (পরশ) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর একজন ছেলেবন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে ফারদিনের এক ছেলেবন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চার বছর ধরে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।
নারায়ণগঞ্জে সদর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’
ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জে সদর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ফারদিন নূর পরশ (২৪) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদক। ফারদিন পরিবারের সঙ্গে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন।