মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ এর নিষেধাজ্ঞা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মিয়ানমারের জান্তা সরকারের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যা-নির্যাতনের ঘটনায় এবার এক মন্ত্রীসহ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ জানিয়েছে, বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের মিয়ানমারে সফরের বিষয়ে মধ্যস্থতার দায়িত্বে থাকা অস্ত্র ব্যবসায়ী কিয়াও মিন ও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন। বিমানবাহিনীতে অস্ত্র ও যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী তার প্রতিষ্ঠান স্কাই অ্যাভিয়েটরের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিল থেকে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের এক মন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ। গত ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা দিলো ইউরোপীয় জোট। সব মিলিয়ে তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হলো মিয়ানমারের ৮৪ ব্যক্তি ও ১১ প্রতিষ্ঠান।
মিয়ানমারের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচিকে হটিয়ে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর ২ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে এই সময়ে সরকারি দমন অভিযানে বাস্তুচ্যুত হয় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ১০ লাখের বেশি মানুষ।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে কিয়াও মিনের। তিনি উচ্চপদস্থ বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের মিয়ানমারে সফরের ব্যবস্থা করতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তার কোম্পানি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে অস্ত্র চুক্তি ও বিমানের যন্ত্রাংশ আমদানি সহজতর করতেও কাজ করেছে।
আর্থিক বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক ট্রেজারি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেছেন, মিয়ানমারে চলা সহিংসতায় মানুষের ভোগান্তির বিনিময়ে লাভবান হয়েছেন কিয়াও মিন।
রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য সহায়তা সংস্থা পর্যবেক্ষণ গ্রুপের তথ্যমতে, মিয়ানমারে গত দুই বছরে অন্তত দুই হাজার ৪০০ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। জাতিসংঘের শিশু সংস্থার ধারণা, এ সময় অন্তত ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানে অং সান সু চিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এ পর্যন্ত ইইউর কালোতালিকাভুক্ত হয়েছে দেশটির ৮৪ ব্যক্তি ও ১১ প্রতিষ্ঠান।