সমাবেশের ৩ দিন আগে সমাবেশস্থলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে প্রথম দল হিসেবে শরিয়তপুর জেলা থেকে কয়েক'শ নেতাকর্মী ফরিদপুরের কোমরপুরে জনসভাস্থল আব্দুল আজিজ ইন্সটিটিউট মাঠে এসে পৌঁছেছেন।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ১০টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খোকন তালুকদারের নেতৃত্বে তারা সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান।
শরিয়তপুর জেলা বিএনপির সদস্য গাউসুর রহমান জানান, রাত ৮টার দিকে তারা চারটি ট্রাকে করে শরিয়তপুর থেকে রওনা দিয়ে রাত ১০টার দিকে গণসমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। তাদের সঙ্গে খোকন তালুকদার ছাড়াও শরিয়তপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহানদার আলীও ছিলেন।
বিএনপি নেতা খোকন তালুকদার জানান, প্রথম দল হিসেবে রাতে শরিয়তপুরের নেতাকর্মীদের একটি মাত্র অংশ এখানে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে আরও নেতাকর্মী আসবেন। প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী তাদের শরিয়তপুর জেলা থেকে এই গণসমাবেশে যোগ দেবেন। শরিয়তপুরের বিএনপির এই নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলেই রাত যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ফরিদপুরের এই বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়ক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু জানান, সরকার এই গণসমাবেশে আসা জনস্রোত বাধাগ্রস্ত করতে নানাভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এ জন্য নেতাকর্মীরা আগে-ভাগেই সমাবেশস্থলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সারাদেশে বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এর আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ১২ নভেম্বর বেলা ১১টায় গণসমাবেশ শুরু হবে। তবে যেহেতু পথে পথে নানা বাধা এবং গণসমাবেশে জনসমাগম সংকুচিত করতে সরকার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাই নির্ধারিত সময়ের দুইদিন আগে থেকেই এই গণসমাবেশ চলবে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে শনিবার (১২ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে ফরিদপুরের এই বিভাগীয় গণসমাবেশ। এরপর প্রথম ধাপের কর্মসূচি শেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি শুরু হবে।
এদিকে, বিভাগীয় গণসমাবেশের সর্বশেষ অবস্থা ও সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজখবর নিচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার রাতে তিনি শহরের কাঠপট্টিতে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে সমবেত বিএনপি ও বিভিন্ন উপ-কমিটির নেতাদের সঙ্গে স্কাইপে সংযুক্ত হন বলে দলীয় সূত্র জানায়।
ফরিদপুরের বিএনপি নেতারা বলছেন, এই গণসমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। সমাবেশস্থল থেকে শহর পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হবে এমন প্রস্তুতিই তারা নিচ্ছেন। আর গণসমাবেশ আয়োজনে আরও বাধা এলে প্রয়োজনে পাড়া মহল্লা, গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়বে এই গণসমাবেশ। অবশ্য যেকোন মূল্যে তারা শান্তি শৃঙ্খলার সঙ্গে গণসমাবেশ সফল করতে চান বলেও জানিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, দুর্নীতি-দুঃশাসন, লুটপাট, মামলা-হামলা, গুম, হত্যা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। তার আগে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশ।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের তৎরপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা, জনগণের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক দায়িত্ব নির্বিঘ্ন রাখতে পুলিশ কাজ করছে।