আসলে আল্লাহর মার, দুনিয়ার বাড় খালেদার উদ্দ্যেশ্য প্রধানমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা নিজেরাই নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চেয়ারম্যান করে রেখেছে৷ আমার মা-বাবা, ভাই হত্যার আসামি জিয়াউর রহমান৷ সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দল আবার এতো কথা বলে কী করে? বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের যত নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে, সেই তুলনায় আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি৷ তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল, আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারব না৷ এখন কী হলো, আসলে আল্লাহর মার, দুনিয়ার বাড়!
সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (বিআইসিসি) জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত ৫৯ জন চেয়ারম্যানকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তাকে সেটা করতে দেয়া হয়নি। যদি সেটা করতে পারতেন তাহলে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া নয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান করে নিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
১৫ আগস্টে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি আর রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। রিফিউজি হিসেবে থাকি। দেশে আসতে পারিনি। কারণ মোস্তাক প্রথমে অবৈধভাবে ক্ষমতা নেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করে একাধারে সেনাপ্রধান, অপরদিকে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়, যাতে তাদের বিচার না হয়। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কার দেয়া হয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়। আর আমরা যাতে দেশে আসতে না পারি সেই নির্দেশ দেয়। এমনকি রেহানার পাসপোর্টটও রিনিউ করে দেয়নি জিয়াউর রহমান। নিষেধ করে দিয়েছিল। ৬ বছর বিদেশে ছিলাম। পরে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশে ফিরে আসি।
এ সময় তিনি বিএনপির কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোকো যখন মারা যায় আমি তখন খালেদা জিয়ার খবর নিতে তার বাসায় গেলাম। কিন্তু তারা আমাকে বাসায় ঢুকতে দেয়নি। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং একজন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারা আমাকে অপমান করল। তারা মনের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ পুষে রাখে। কিন্তু আমাদের মনে কোনো হিংসা বিদ্বেষ নেই।
দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আপনাদের দায়িত্ব সবার জন্য কাজ করা। আমি ক্ষমতায় আসার পর কে আমাকে ভোট দিল, তা দেখে উন্নয়ন করিনি।
সার্বিকভাবে উন্নয়ন করেছি। প্রতিটি এলাকা যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায়, সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ’