অচেনা ইরানের সামনে চেনা ইংল্যান্ড
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলা ইংল্যান্ডের জন্য ছিল বড় এক অর্জন। একই সঙ্গে ফাইনালে উঠতে না পারা ছিল হতাশার। এরপর গত বছর ইউরোতে অনেক আশা জাগিয়েও ফাইনালে উঠে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হার। এবার আর কোনো ভুল নয়, কাতার বিশ্বকাপে শেষ বাধা পেরিয়ে ৫৬ বছরের শিরোপা খরা ঘোচাতে উদগ্রীব ইংল্যান্ড। দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা ৭টায় ইরানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ট্রফি ঘরে ফেরানোর অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ১৯৬৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ‘বি’ গ্রুপে ইংল্যান্ডের অন্য দুই প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলস।
শক্তি-সামর্থ্যে গ্রুপের বাকি তিন দলের চেয়ে ঢের এগিয়ে ইংল্যান্ড। ফলে হ্যারি কেইনদের নকআউট পর্বে ওঠা নিয়ে তেমন কোনো শঙ্কা নেই। সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না হলেও আজ পরিষ্কার ফেভারিট হিসাবেই নামছে ইংলিশরা। তবে ইরান তাদের জন্য একদম অচেনা প্রতিপক্ষ।
ইংল্যান্ড খেলেছে ১৫টি বিশ্বকাপ, ইরান পাঁচটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুদলের দেখা হয়নি কোথাও। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে আজই প্রথম মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা। আগের পাঁচ বিশ্বকাপে ১৫ ম্যাচের মাত্র দুটি জেতা ইরানকে এবার বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কারের জোর দাবি উঠেছিল। পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। এই বিক্ষোভকে সমর্থন জানানো কয়েকজন ফুটবলার আছেন ইরানের বিশ্বকাপ দলে। সরদার আজমুন তাদের অন্যতম।
এই বিতর্কের আঁচ থেকে দলকে আগলে রাখার চেষ্টা করছেন ইরানের পর্তুগিজ কোচ কার্লোস কুইরোজ। অধিনায়ক আলী রেজা জাহানবখশও জানালেন তাদের পুরো মনোযোগ এখন মাঠের খেলায়, ‘এটা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। আমরা এখানে ফুটবল খেলতে এসেছি। মাঠের খেলাতেই এখন পুরো মনোযোগ সবার।’
শেষ ছয়টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দল জয়শূন্য থাকায় ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেটেরও সমালোচনা হচ্ছে। ডিফেন্ডার এরিক ডায়ার অবশ্য এসব পাত্তা দিচ্ছেন না, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে ইংল্যান্ডকে তিনি একটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ইউরোর ফাইনালে নিয়ে গেছেন। এরপর এ ধরনের আলোচনাই উদ্ভট।’
আরেক ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আরনল্ডের চোখ শিরোপায়, ‘আশা করি, সবশেষ দুই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতায় এবার আমরা এমন এক দল হয়ে উঠব, যারা শিরোপা জিততে পারে। আমি শতভাগ বিশ্বাস করি যে, আমাদের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা বাস্তবসম্মত।’