দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ফ্লোর প্রাইজও যেনো বাঁচাতে পারছে না পুঁজিবাজারকে। পতন ঠেকানোর কোন উপায়ই খুঁজে পাচ্ছেনা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আ্যন্ড একচেঞ্জ কমিশন। এবছরের ২৮ জুলাই বছরের দ্বিতীয় বারের মতো দেয়া হয় ফ্লোর প্রাইস অর্থ্যাৎ শেয়ার দর কমার সর্বনিম্ন সীমা। এরপরে কিছুদিন পুঁজিবাজার ভালো থাকলেও আবার শুরু হয়েছে পতন। লেনদেন ও কমেছে অনেক।

 

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি পুঁজিবাজারের অবস্থা নাজুক করতে ভূমিকা রাখছে। রিজার্ভ কমে যাওয়া,ডলার সংকট এরুপ নানা ধরনের পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারী প্যানিক করছে। এমনও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ব্যাংকগুলোর অবস্থা খারাপ। টাকা রাখা নিরাপদ নয়।এসব গুঞ্জন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে হয়েছে ব্যাংকে নিরাপদ। এসব নানা গুঞ্জনে মানুষ বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত হিসাব মতে আজ(মঙ্গলবার) ৪২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে । এর আগেরদিন সোমবার ৩৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে । সপ্তাহের প্রথমদিন রবিবার ৪২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। মাস

এ ব্যাপারে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদের সাথে। তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইস কখনোই ভালো পদ্ধতি না। পুরোটাই কৃত্তিম ভাবে চলছে মার্কেট। বিনিয়োগকারীরা চাইলেও শেয়ার বিক্রয় করতে পারছেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার দাবি করে তিনি।

কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের নাম ধরে তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারনে কয়েকজন বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রয় করতে পারছেন না।

অন্যদিকে রাজধানীর মতিঝিলের এক ব্রোকারেজ হাউজে আব্দুর রহমান নামের এক বিনিয়োগকারীর সাথে কথা হয়। ফ্লোর প্রাইসের কারনে শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না, এমনটা জানান তিনি। একই মত একাধিক বিনিয়োগকারীর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা জানান, ফ্লোর প্রাইসের কারনে শেয়ার সেল করতে পারছেন না। তিনি জানান, ফ্লোর প্রাইস অবিলম্বে তুলে নিলে মার্কেট তুলে নেওয়া উচিত। শেয়ার কেনা-বেচা হবে। মার্কেট স্বাভাবিক হবে।


২২ নভেম্বর,২০২২ দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক/মাহা