পাঁচ বছর পর যশোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টায় যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক জনসভায় ভাষণ দেবেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করেছে। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণবঙ্গে আগমনে নতুন কিছুর আশায় বুক বেঁধেছেন যশোরবাসী। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা উপলক্ষ্যে, যশোর এখন একটি উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। জেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে উৎফুল্লতা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এই জনসভাকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র যশোরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাই নয়, বরং গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা গেছে নতুন আশা। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি দাওয়া পূরণ হবে বলে বিশ্বাস তাদের। যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল এবং মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে সাগরদাঁড়িতে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনসহ বেশ কয়েকটি দাবি তাদের।
জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে মেডিকেল কলেজ হলেও কলেজের সঙ্গে হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। ফলে ব্যাবহারিক শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পাঁচ কিলোমিটার দূরে জেলা হাসপাতালে যেতে হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থাকলে সদর হাসপাতালে ৭৫ শতাংশ রোগীর চাপ কমে যেত।
এদিকে যশোরে আওয়ামী লীগের জনসভা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে মাঠে ভাষণ দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সেই যশোর স্টেডিয়াম মাঠে ভাষণ দেবেন। স্টেডিয়াম মাঠে জনসমাগম ধারণ করা যাবে না, এ জন্য পশ্চিম পাশের গ্যালারি ভেঙে আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের মাঠ ও পৌর পার্কের একাংশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, ইতিমধ্যে জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কোন জেলার মানুষ কোন রাস্তা দিয়ে আসবে, তাদের যানবাহন কোথায় রাখবে, তা ঠিক করা হয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও শহরের নানা প্রান্তে যাতে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে পারে সে কারণে বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তারা জানান, জনসভা সফল করার জন্যে দলের নানা স্তরে সভা করা হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা এই আয়োজনে খুবই উজ্জীবিত। সবশেষ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী যশোর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।