খালেদা জিয়া জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিলো- প্রধানমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ এই দেশের জনগণ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পাকিস্তান আত্মসমর্থন করে। ঠিক আত্মসমর্থনের আগে পাক বাহিনী এই দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনকে তারা তুলে নিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে আত্মসমর্থন করতে হবে জেনে পাক বাহিনী পরিকল্পিতভাবেই এই দেশের সুর্য সন্তানদের হত্যা শুরু করে। যাতে করে এই দেশে বুদ্বিজীবী শুণ্য হয়ে যায়। এই দেশে যাতে ভবিষ্যতে এগোতে না পারে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে সেই ১০ ডিসেম্বরই বিএনপির খুব প্রিয় একটি তারিখ। ১৯৭১ সালের পাক বাহিনীর দোসর বিএনপি নাকি ১০ ডিসেম্বর ঢাকা দখল করবে এবং আওয়ামী লীগ সরকারেকে উৎখাত করবে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিলো। কিন্তু সেই চুরির ভোট এই দেশের জনগণ মেনে নেয় নাই। এর প্রতিবাদে সারা দেশের মানুষ ফুসে উঠে। আমরা জনগণের ভোট আদায়ে জনতার মঞ্চ করেছিলাম। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়া খালেদা জিয়াকে শেষ পর্যন্ত দেড় মাসের মাথায় বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো। সেই ভোট চুরির কথা বিএনপির মনে রাখা উচিত। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়া এই দেশের মানুষ মেনে নেয় না। তাই ওরা হুংকার দিচ্ছে আবারও অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার। তাই তো বিএনপি ভোট চায় না।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের কথা সবসময় আমার মনে পড়ে। বাবা জেল থেকে বের হলেই চট্টগ্রামে নিয়ে আসতেন। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আসতে পারেনি তাই আজ হাজির হয়েছি। এই লালদিঘীর সামনে ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি আমাকে হত্যা করতে গুলি করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। সেই হত্যাকারী পুলিশ অফিসারকে প্রমোশন দেওয়া হয়। বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০০১ নির্বাচনে পর এই চট্টগ্রামে হিন্দু, বৌদ্ধরা কেউ রেহাই পায়নি, তাদের (বিএনপি) অত্যাচার থেকে।
সরকারপ্রধান বলেন, তারা (বিএনপি) মানুষের শান্তি চায় না, তারা ক্ষমতায় থেকে লুঠপাট করেছে, জিয়াউর রহমান যখন মারা যান তখন ৪০ দিন পর্যন্ত শুনেছিলাম জিয়াউর রহমান নাকি কিছু দিয়ে যাননি। ভাঙা একটা সুটকেস ছাড়া। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই হাওয়া ভবনের নামে এতো টাকা কই পেলেন? ভাঙা সুটকেসে কি জাদু ছিল?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে আমরা ধারণ করি। কিন্তু ১৯৭৫ এর আগষ্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার সেই আদর্শকে বিসর্জন দেয়া হয়। এমনকি বঙ্গন্ধুর নাম পর্যন্ত মুছে ফেলা হয়েছিলো। সে সময়ে এমনকি জয় বাংলা স্লোগান পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছিলো ওই খালেদা জিয়া গংরা। আমরা ক্ষমতায় ফিরে আসার পরে আল্লাহর রহমতে আজ জয় বাংলা স্লোগান ফিরে এসেছে। বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস এখন তরুণ প্রজন্ম জানতে পারছে।