পাঠ্যপুস্তকে সংযুক্ত হবে বিনিয়োগ শিক্ষা - শিক্ষা উপমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিনিয়োগ শিক্ষার উপযোগিতা এবং প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ১৬ বছর পর্যন্ত সব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জ্ঞান বা ধারণা থাকা দরকার। যেহেতু বিনিয়োগ একটি অবিচ্ছেদ্য জীবন দক্ষতা। তাই পাঠ্যপুস্তকের নতুন কারিকুলামে বিনিয়োগ শিক্ষা, সঞ্চয় ইত্যাদিসহ অর্থায়ন সম্পর্কিত মৌলিক ধারণা সংযুক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অনুষ্ঠিত জাতীয় পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ আশ্বাসের কথা জানান। বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সার্বজনীন বিনিয়োগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করছে। স্কুল পর্যায়ে নতুন কারিকুলামের কাজ চলমান, যেখানে বিদ্যমান গ্রুপ সিস্টেম আর থাকছে না।
বিএসইসি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর কমিশনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এ ছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, কমিশনার ড. মো. মিজানুর রহমান, কমিশনার মো. আবদুল হালিম, কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম, নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ, পরিচালক মো. মনসুর রহমান, পরিচালক, বিএসইসি; বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের (বিএএসএম) মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন নীলাঞ্জন কুমার সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকুল ইসলাম, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. রঞ্জিত পোদ্দার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা কর্মকর্তা মুরশীদ আকতার, এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিজ প্রমা তাপসী খান এবং এসিসিএ বাংলাদেশের বিজনেস রিলেশনশিপ এক্সিকিউটিভ মিজ মাইশা নানজীবা মুসা।
সভার শুরুতে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জাতীয় পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা অন্তর্ভুক্তকরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্কুল, কলেজ পর্যায়ে বিনিয়োগের মৌলিক ধারণা প্রদান করা গেলে পরবর্তীতে তারা বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দক্ষতার সাথে নিতে পারবে।
বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বুথ সারাদেশে বিস্তৃত করা হচ্ছে যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন। তিনি বিনিয়োগের ঝুঁকি নিরসনের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষায় উদ্যোক্তা সৃষ্টি, আত্মকর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা সম্পর্কিত মেলায় বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন।
আলোচনা সভায় সঞ্চয়, বিনিয়োগ, ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেশের শিক্ষা কার্যক্রমে সংযোজন করার জন্য প্রাথমিক আলোচনা হয়।