বাজারে দাম বেড়েছে চাল,ডালের,কমেছে মুরগির দাম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাজারে দাম বেড়েছে চাল, ডালের। কমেছে মুরগির দাম।
এছাড়া অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো আছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। প্যাকেট চিনি কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।
এসব বাজারে ভোজ্য তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতল ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল ৯২৫ টাকা। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।
আগের দামেইবিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, বাজারে মুরগির ডিমের দাম কম থাকলেও বাড়তি হাঁসের ডিমের দাম। বাজারের লাল ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়।
গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।
মুরগির বিক্রেতা মো. মাসুম বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে মুরগির। শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম হলে দাম বাড়তে থাকে।
বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল-গুটি-স্বর্ণা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার কাছাকাছি। আর পাইজাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের বিআর-২৮ চালের প্রতি কেজি ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। নাজিরশাইল চাল মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৭৪ থেকে ৮৫ টাকায়। তবে বাজারে আরও বেশি দামের চাল রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেটজাত যেসব চাল বিক্রি করে, তা প্রতি কেজি ১০০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে।
কালাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. কালাম বলেন, চালের বাজারে সরবরাহের সংকট নেই। অবশ্য আমন ধানের মোটা চালের দাম একটু কমছে। বিআর-২৮, মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম কমেনি।