বিএনপির সমাবেশের আশেপাশের খাবারের হোটেলও বন্ধ রেখেছে পুলিশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর গোলাপবাগের মাঠে চলছে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে খোলা ট্রাকে করে পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ করছেন দলটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মিছিলের পাশাপাশি খোলা ট্রাক ও ভ্যানে করে পানির বোতল, শুকনো খাওয়ার নিয়ে প্রবেশ করে তারা। কিন্তু সমাবেশ এলাকার আশপাশের খাবার দোকানগুলো বন্ধ। কেননা, গোলাপবাগ, সায়দাবাদ মোড়ের খাবার হোটেল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমাবেশ কেন্দ্রের আশপাশ এলাকার খাবার হোটেল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে পুলিশ। দুপুরে এলাকাগুলো ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
সায়দাবাদের গাউছিয়া হোটেলের ব্যবস্থাপক দুলাল জানান, শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে কিছু সময়য়ের জন্য হোটেল বন্ধ করতে বলে পুলিশ। আজ সকালে হোটেল খুললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাবেশে আসা লোকজনদের খাবার পরিবেশনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু দুপুর দেড়টা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই হোটেলে খাওয়া দাওয়া করছেন।
তিনি আরও জানান, সাধারণ মানুষের কাছেও বিকেল ৪টা পর্যন্ত খাবার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত শুধুমাত্র প্রশাসনের লোকজন এ হোটেলে খাবার খেতে পারবেন। তাদের কাছে খাবার বিক্রির অনুমতি রয়েছে। চারটার আগ পর্যন্ত প্রশাসনের লোকজন ছাড়া অন্য কারও কাছে খাবার বিক্রি বন্ধ।
সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়িতে ডিউটিরত শাহিনুর রহমান নামে এক ইন্সপেক্টর বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কিছু বন্ধ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কিছু কিছু হোটেল রেস্তোরাঁ সাময়িক সময়ের বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গোলাপবাগ, সায়দাবাদ মোড়ও আশপাশের খাবার হোটেলগুলোয় সাধারণ মানুষের কাছে খাবার বিক্রি করা হচ্ছে না। বিএনপির লোকজনের কাছেও খাবার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কেন বিক্রি করা হচ্ছে, প্রশ্ন করলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
এদিকে বেলা যত বাড়ছে বিএনপির সমাবেশে আসা নেতাকর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করছে দলটির সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীরা। বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলেরনেতারা ট্রাক-ভ্যান থেকে পানি ও খাদ্য বিতরণ করছে কমলাপুর থেকে শুরু করে সায়দাবাদ পর্যন্ত।