রাতেও নয়াপল্টনে পুলিশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দিনভর ছিল তালা। সারাদিন কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত সড়কে যে ব্যারিকেড ছিল, তা রয়েছে এখনো।
দিন পেরিয়ে রাতেও এই সড়কের বিভিন্ন অলিগলিতে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন রয়েছে অসংখ্য পুলিশ।
শনিবার সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের বিভিন্ন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। ভোর থেকেই নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত সড়কে যানবাহন ও সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। ওই এলাকায় চলতে গিয়ে পুলিশের জেরা ও তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছে অনেককে। দিনভর এলাকাজুড়ে ছিল সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশের টহল। বিকেলে কিছুটা ছাড় দেওয়া হলেও রাতে ঘরে ফেরার ক্ষেত্রেও তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে এলাকার অনেক বাসিন্দাকে।
এর আগে বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে গত বুধবার পুলিশ–বিএনপি সংঘর্ষের জেরে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ; যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিএনপি কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা যাওয়ার চেষ্টা করলেও শনিবার দলটির কেউ সেখানে আসেননি। সমাবেশের পরও বিএনপির নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি এই এলাকায়। তবে নাইটিঙ্গেল মোড়ে দুপুরের পর ১৫ থেকে ২০ জন করে পাঁচ থেকে সাতটি দলকে আওয়ামী লীগের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে পুরানা পল্টনের দিকে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দুপুর ১২টার পর থেকে নয়াপল্টন এলাকায় তাদের অবস্থান আরও জোরদার করে। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এসময় কথা বলে জানা গেছে, সমাবেশের পর নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে পারেন- সেই আশঙ্কা থেকেই পুলিশ নাইটিঙ্গেল মোড়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং ফকিরাপুল এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে সশস্ত্র অবস্থান নেয়।
শনিবার সারাদিনসহ রাতেও একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেন নয়াপল্টন এলাকায় অবস্থান নিতে না পারেন, সে জন্য পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন তারা। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই এলাকায় সাধারণ মানুষকে আসতে দেওয়া হয়নি। এই এলাকায় কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তারা তৎপর রয়েছেন। নিরাপত্তার কারণে এই এলাকায় সন্দেহজনকভাবে কাউকে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে তারা তল্লাশি করছেন।