দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপটি মরক্কোর জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। ফিফা বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করে দক্ষিণ আফ্রিকার দলটি। 

 

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো তারকা খচিত পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়ে করে সেমিফাইনালে উঠে যায় মরক্কো। তাদের সেই স্বপ্নের যাত্রা থামিয়ে দেন ফরাসিরা।

বুধবার সেমিফাইনালে বিশ্বকাপের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নেয় মরক্কো। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ভক্ত-সমর্থকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে আশরাফ হামিকিরা।

মরক্কোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ২২তম আসরের ফাইনালে ফ্রান্স। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে গত আসরের শিরোপাজয়ী দল ফ্রান্স।

বুধবার দিবাগত রাত ১টায় কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স-মরক্কো। খেলার শুরুতেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স।

কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাঁ পায়ের দারুণ শটে ম্যাচের ৫ মিনিটে দলকে (১-০) এগিয়ে নেন হার্নান্দেজ। তার গোলে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত প্রতিপক্ষ ফুটবলারের কাছ থেকে গোল হজম করল মরক্কো।

এক গোল খেলেও দারুণ খেলে মরক্কো। ১১ মিনিটে ডি বক্সের বাইর থেকে উনাহির দূরপাল্লার শট বা পাশে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস।

১৮ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় মরক্কো। বৌফালের পাস থেকে ডি বক্সে বল পেলেও বা পায়ের দুর্বল শটে গোল করতে ব্যর্থ হন জিয়েচ৷

৩৬ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার এটাকে মরিক্কোর রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেয় এমবাপ্পে। তার গতির কাছে পরাস্ত হন মরক্কোর ডিফেন্ডার। এমবাপ্পের দুর্বল শট ক্লিয়ার করেন মরক্কোর ডিফেন্ডার।

কিন্তু ফোফানার পাস থেকে দারুণভাবে একা বল পেয়ে গোলবারের বাইরে শট নেন জিরুড।

৪১ নিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে ভারানের ডান পায়ের শট আবারো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। কিন্তু এল ইয়ামিকের ওভার হেড কিক গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়, ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।

প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলে দুইদল। ৭৯ মিনিটে রঁদাল কলো মুয়ানি গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন