স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় হতাশ হওয়ারই কথা মরক্কোর। আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে। ফাইনালে খেলার লক্ষ্য থাকলেও তাদের রূপকথার যাত্রা থামিয়েছে ফ্রান্স। আজ শনিবার রাত ৯টায় সান্ত্বনা পুরস্কারের খোঁজে তৃতীয় স্থান নির্ধারণীতে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

গ্রুপ পর্বেও মরক্কো ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচটা শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ড্রয়ে। চলতি বিশ্বকাপ বাদে আরও একবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। ওই ম্যাচে জয় ছিল ক্রোয়েশিয়ার। ২০১৮ সালেও গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি দুটি দল বেলজিয়াম-ইংল্যান্ড তৃতীয় স্থান নির্ধারণীতে খেলেছিল।

মরক্কোর জন্য গর্বের জায়গাটি হচ্ছে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। তবে সেমিফাইনালে হতাশা সঙ্গী হওয়ায় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নতুন প্রেরণা নিয়ে মাঠে নামাটা কঠিন। ম্যাচের আগে সরল স্বীকারোক্তি ছিল মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগরাগির, ‘আমরা বুঝি চতুর্থ হওয়ার চেয়ে তৃতীয় হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা রবিবারের ফাইনাল খেলতে চেয়েছিলাম, এই ম্যাচটা নয়।’

তার পরেও সপ্তম ম্যাচ খেলতে পারার গর্ব থেকে প্রেরণা খুঁজে নিতে চাচ্ছেন তিনি, ‘আমি ছেলেদের বলেছি এটা আমাদের বিশ্বকাপের সপ্তম ম্যাচ। মরক্কোর সমর্থকরা অবশ্যই তাতে গর্ব বোধ করবে। আমরা ২০ বা তার বেশি সময় বিশ্বকাপে মাত্র ৬টি ম্যাচ খেলেছে। আর এক বিশ্বকাপেই এবার খেলতে পারলাম ৬ ম্যাচ। এটা অবশ্যই অমূল্য।’

ক্রোয়েশিয়ার সোনালী প্রজন্মের প্রতিনিধি লুকা মদরিচ হয়তো আগামী বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবেন না। শেষটা গর্ব করার মতো কিছু নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাইবেন। মরক্কো কোচ রেগরাগিও জানেন সেটা। স্থান নির্ধারণীতে তাদের মাথা কারণ হতে পারেন এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার, ‘আমি নিশ্চিত নই এটা মদরিচের শেষ ম্যাচ কিনা। তবে তিনি একজন লড়াকু যোদ্ধা; বিশ্বকাপটা নিজের মতো করে শেষ করতে চাইবেন। অপ্রতিরোধ্যভাবে সমাপ্তি টানতে চাইলে তিনি অবশ্যই আমাদের মাথা ব্যথার কারণ।’