কে পাচ্ছেন গোল্ডেন বুট, মেসি না এমবাপ্পে ?
স্পোর্টস ডেস্ক, দ্য রিপোর্ট: বয়স হয়ে গেছে ৩৫। তার ওপর এটাই শেষ বিশ্বকাপ। বিশ্বের সেরা ফুটবলার বলেই শেষটা স্মরণীয় করে রাখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা কাজ করছে লিওনেল মেসির। বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করে এখন ট্রফি ছোঁয়া দূরত্বে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। মরুর বুকে একের পর এক রেকর্ড ও মাইলফলক স্পর্শ করে যাচ্ছেন। এবার ট্রফি জিততে পারলে ষোলোকলা পূর্ণ হবে আর্জেন্টাইন তারকার।
ভুলে গেলে চলবে না, ট্রফি জয়ের পথে মেসির সঙ্গে বড় দ্বৈরথটা হতে যাচ্ছে তার চেয়ে ১২ বছরের ছোট ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের। দুজন-ই দলের বড় প্রাণশক্তি। এক জায়গায় সমানে সমান অবস্থানও তাদের। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দুজনের নাম যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে। করেছেন ৫ গোল। ফাইনালে লক্ষ্যভেদ করতে পারলেই একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন। তখন মূল্যবান গোল্ডেন বুট ধরা দেবে হাতে।
মেসি-এমবাপ্পে এরইমধ্যে ৬টি করে ম্যাচ খেলেছেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া মেসি বাকিগুলোতে গোল পেয়েছেন যদিও। তবে ৫টি গোলের তিনটিই এসেছে স্পটকিক থেকে। সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে সফলতার সঙ্গে জাল কাঁপিয়েছেন।
এখন ফাইনালে মেসির দিকে যে আলাদা করে স্পটলাইট থাকবে, তা চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায়।
মেসির বিপরীতে এমবাপ্পেও সমান গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ৫টি গোলের তিনটিই পেয়েছেন তিন ম্যাচে। এরমধ্যে ডেনমার্ক ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া লক্ষ্যভেদ করে নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন। অন্য গোলটি এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
ফরাসি প্রাণভোমরার গতি ও ড্রিবলিংও নজরকাড়া। যেভাবে বাঁদিক দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে হানা দেন, তাতে ফাইনালে গোল পাওয়াটা তার জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এমনিতে মেসি-এমবাপ্পে দুজনই একই ক্লাব সতীর্থ। খেলছেন প্যারিস সেন্ত জার্মেইতে। লড়াইটা তাই জমজমাট হওয়ার কথা।
এতক্ষণ তো মেসি-এমবাপ্পেকে নিয়ে অনেক কথা হলো। কাতারের মাঠে তাদের পেছন থেকে উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছেন আরও দুজন। চার গোল করে মেসি-এমবাপ্পের পেছনে আছেন তাদের দুই সতীর্থ হুলিয়ান আলভারেজ ও অলিভিয়ের জিরু।
মেসির পাশাপাশি আলভারেজও একের পর এক নিশানা ভেদ করে নিজেকে চেনাচ্ছেন। লাওতারো মার্তিনেজের জায়গায় নেমে ম্যানচেস্টার সিটির তরুণ স্ট্রাইকার পোল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন। সেমিফাইনালে তো ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে অন্য উচ্চতায় উঠেছেন তিনি।
অপর দিকে জিরু কিন্তু আলভারেজের মতো তরুণ নন। ৩৬ বছর বয়স। করিম বেনজেমা না থাকায় ফরাসি স্ট্রাইকার বিশ্বকাপে নিজেকে আলাদা করে মেলে ধরার সুযোগটা বেশি পেয়েছেন। এই বয়সেও যে প্রতিপক্ষের বক্সে ত্রাস ছড়ানো যায়, তা এসি মিলান স্ট্রাইকার দেখিয়ে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোলের পর পোল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জাল কাঁপিয়েছেন তিনি।
সব মিলে ফাইনালে একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে আছেন বেশ কয়েকজন। যে লড়াই আবার নিজেদের স্মরণীয় করে রাখারও। মেসি-এমবাপ্পে কিংবা আলভারেজ-জিরুরা নিশ্চয়ই এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না!