দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ফুটবল ভক্তদের চোখ থাকবে তাদের দিকে। কিন্তু তাদের চোখ থাকবে শিরোপায়।

 

 

শেষ পর্যন্ত কে উঁচিয়ে ধরবেন সোনালী ট্রফিটি? লিওনেল মেসি নাকি কিলিয়ান এমবাপ্পে? সময় বলে দেবে তা। তবে স্বপ্নের ফাইনালের আগে অনেকগুলো রেকর্ডডাকছে এই দুই সুপারস্টারকে।

দুজনেরই বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় ফাইনাল। তবে এমবাপ্পের অভিজ্ঞতার স্বাদটা মেসির একদমই বিপরীত। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপের ছোঁয়া পেয়েছেন তিনি। ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন করানোর পথে চার গোল করেছিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপে। এবার ইতোমধ্যেই স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন পাঁচবার। ফাইনালে গোল করলে অনন্য এক কীর্তি স্পর্শ করবেন তিনি।

বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত একের অধিক ফাইনালে গোল করেছেন ভাভা, পেলে, পল ব্রেইটনার ও জিনেদিন জিদান। এমবাপ্পে সেই তালিকায় পঞ্চম ফুটবলার হিসেবে যুক্ত হবেন যদি গোল করেন। গোলটি যদি বক্সের বাইরে থেকে হয় তাহলেনতুন কিছুর জন্ম দেবেন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। কেননা কোনো ফুটবলারই বিশ্বকাপ ফাইনাল ইতিহাসে বক্সের বাইরে থেকে দুটো গোল করতে পারেননি। গত রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বক্সের বাইরে থেকে দর্শনীয় এক গোল করেছিলেন এমবাপ্পে।

ক্লাব ফুটবলে সতীর্থ হলেও কাল এমবাপ্পের শত্রু হিসেবেই নামবেন মেসি। দুজন গোল করলেই বিশ্বকাপ দেখবে নতুন কিছু। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানির হয়ে গোল করেছিলেন পল ব্রেইটনার ও গার্ড মুলার। দুজন তখন একই ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলতেন। তবে মেসি-এমবাপ্পে একই ক্লাবের হলেও ফাইনালে তারা একে অপরের প্রতিপক্ষ।

মেসি অবশ্য মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বরেকর্ড গড়বেন। বিশ্বকাপে এটি হবে তার ২৬ তম ম্যাচ। আর কোনো ফুটবলারই এতো ম্যাচ খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলেছেন লোথার ম্যাথাউস। যদি আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারের আগেই জিতে যায় তাহলেও রেকর্ডে নাম লেখাবেন মেসি।

বিশ্বকাপে ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ ১৭ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি জার্মান কিংবদন্তি মিরোস্লাভ ক্লোসা। কাল জিতলে ক্লোসার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে থাকবেন মেসি। তবে আরেকটি রেকর্ডে এককভাবে শীর্ষে থাকার সুযোগ রয়েছে তার। সেটা ‘গোল্ডেন বল’ হাতে পেলে। কেননা বিশ্বকাপ ইতিহাসেই কেউই দ্বিতীয়বার গোল্ডেন বল জিততে পারেননি। ২০১৪ বিশ্বকাপে তা জিতেছিলেন মেসি। এবারও সুযোগটা ভালোভাবেই থাকছে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের।