ইউক্রেনের জ্বালানী স্থাপনাগুলোতে রাশিয়ার হামলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানী স্থাপনাগুলোর ওপর বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ১০ মাস আগে রাশিয়ার বিশেষ অভিযান শুরু হওয়ার পর গতকালের এ হামলাকে ‘অন্যতম বড় হামলা’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব হামলায় দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় ক্রিভি রিহ শহরে তিনজন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরে আরেকজন নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা রাশিয়ার নিক্ষিপ্ত ৭৬টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৬০টি ভূপাতিত করেছে। দেশটির জ্বালানীমন্ত্রী জেরমান গালুশেঙ্কো বলেছেন, তার দেশের অন্তত নয়টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এর ফলে রাজধানী কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বহু ঘরবাড়ি গরম রাখার ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ-নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে ইউক্রেনের গোলার আঘাতে ১২ জন নিহত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় রুশ ভাষাভাষি অধ্যুষিত দোনবাস অঞ্চলকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে উল্লেখ করেছে।
এসব পশ্চিমা দেশ মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তরে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন মস্কোর একগুচ্ছ দাবি মেনে না নিলে সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে এই অঙ্গীকার করতে হবে যে, সে কখনও ন্যাটো জোটে যোগ দেবে না।