দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জীবনে বড় কিছু পেতে হলে হয়তো ছোট কিছু হারাতে হয়। তারই যেন উদাহরণ পোল্যান্ডের রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াক। হৃদরোগের কারণে যাকে ১৮ মাস ফুটবল থেকে থাকতে হয়েছে দূরে। তিনিই জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে।

জীবনের শেষ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া মেসি। আর টানা দ্বিতীয় বার কাপ জিততে বদ্ধপরিকর এমবাপ্পে। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে এই দুই তারকার ভাগ্য ঝুলছে একজনের হাতে তিনি পোল্যান্ডের সাইমন মার্সিনিয়াক। তাকেই রেফারির দায়িত্বে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ফাইনাল ম্যাচে।

এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার আগে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছিলেন ৪১ বছর বয়সী এই পোলিশ রেফারি। গত বছর টাকাইকার্ডিয়া নামের রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে লড়াকু মন-মানসিকতায় আবারো ফুটবলে ফিরে এসেছেন সাইমন।

২০০৬ সালে ২৫ বছর বয়সে পেশাদার রেফারি হিসেবে পথ চলা শুরু সাইমনের। ফিফার তালিকাভুক্ত রেফারি হতে তার সময় লাগে আরও ৫ বছর। এরপর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে বেছে নিয়েছে ফিফা। যেমনটা বেছে নেওয়া হয়েছে এবারের ফাইনালের জন্য।

এবারের আসরে শেষ দিকে এসে রেফারিং নিয়ে বিতর্কে পড়তে হয়েছে ফিফাকে। তাই ফাইনালের আগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন এই পোলিশ রেফারি।

এবারের আসরে মোট দুটি ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন সাইমন। একটি গ্রুপ পর্বে ফ্রান্স-ডেনমার্ক ম্যাচে। অন্যটি শেষ ষোলোর আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। এই দুই ম্যাচে মেসিদের একটি পেনাল্টি দিয়েছিলেন এই পোলিশ রেফারি। আর সবমিলিয়ে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন ৫টি। তবে কোন লাল কার্ড দেখাননি তিনি।

লাতিনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও, ইউরোপীয় দর্শকরা ভাল করে চেনেন সাইমনকে। অনেক হাইভোল্টেজ ম্যাচে রেফারি ছিলেন তিনি। যেসব ম্যাচে ফুটবলারদের লাল কার্ড দেখানোর নজিরও আছে তার।

বড় ম্যাচে হেডমাস্টার সাইমনের কড়া শাসন দেখেছেন ইরানের মেহদি তারেমি, জার্মানির জেরমি বোয়াতেং-সহ আরও অনেক ফুটবলার। রোববারের ফাইনালে পোল্যান্ডের এই রেফারি কি করতে চলেছেন, সেদিকেই তাকিয়ে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের সমর্থকরা।