কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না- আমু
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘যেকোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। ষড়যন্ত্র রুখতে ১৪ দল প্রস্তুত।’ রাজপথে অপশক্তি মোকাবিলার ঘোষণা দেন তিনি। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমির হোসেন আমু। তিনি আরও বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। এ মাসেই বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে বিএনপি। কিন্তু সফল হয়নি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস বলেন, ‘১৪ দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে সকল শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রগতির পথ যারা রুখতে চাইবে বাংলার মাটি থেকে তাদের চিরতরে নির্মূল করবো। এটাই হোক আজকের শপথ।’
ঢাকা মহানগর ১৪ দলের প্রধান সমন্বয় ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার। স্থিতিশীল সরকারকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামাত। কিন্তু সফল হতে পারেনি। ষড়যন্ত্র করলে মোকাবিলা রাজপথেই হবে।’ এ সময় ১৪ দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় পাটি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি প্রথমে দিলো একদফা। দশ ডিসেম্বর দিল ১০ দফা। সমানে হয়ত দিবে ২৭ দফা। কিন্তু এসব দফায় কোন কাজ হবে না। বিএনপি বলছে নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচন না হলে যে কী হয়? ১/১১ এ সেটা কি তারা দেখেনি। এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেল! নির্বাচন না হলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আসুন শপথ গ্রহণ করি। দেশ ও জনগণের স্বার্থে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ক্ষুধা দারিদ্র নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে দেশকে রক্ষা করি। মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করি।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত অপশক্তি ষড়যন্ত্র কেরে দেশকে পেছনেরে দিকে নিতে চায়। তারা সংবিধানই মানে না। দেশের উন্নয়ন অস্তিত্বে আঘাত হানতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। প্রকৃত কোনো আলেম জেলখানায় নেই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি ও বিরোধীদলেও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি। তা না হলে দেশে শান্তিই থাকবে না।’
ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসান বাদশা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হলে জামায়ত-বিএনপি বাংলাদেশের মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরি আক্তার এমপি বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির সঙ্গে কোনো আপস নেই। তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের শক্তি। আর অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’