দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী সরকার সব কূটনীতিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছে.।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রদূতকে মাইরা ফেলেছে শুনেছেন? ২০০৪ সালে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত গিয়েছিলেন সিলেটে। তাকে তখন বোমা মারা হয়েছিল। উনি তখন একটু আহত হয়েছিলেন। বিএনপি সরকার ছাড়া অন্য সময়ে কোনো দূতাবাসে (কূটনীতিকদের ওপর) আক্রমণ হয়নি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে শাহীনবাগে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে সেখানে যাবেন আমাদের আইডিয়া ছিল না। রাষ্ট্রদূতকে রাস্তায় ধরে স্মারকলিপি দেবেন এটা কোনো কালচারে আছে কি না, আমি জানি না। ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন কেন মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ না করে ওখানে স্মারকলিপি দিতে গেল? এটা জানা দরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করছে না। আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণে বিশ্বাস করি। আমরা এভাবে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টাকে উৎসাহিত করি না।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়বে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুপাক্ষিক সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপ্তি অনেক বিস্তৃত এবং গভীর। এই ছোটোখাটো ঘটনায় তার প্রভাব পড়বে না।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের শাহীনবাগের বাসায় যান। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে সুমনের বাসায় প্রবেশ করে প্রায় ২৫ মিনিট তিনি সেখানে অবস্থান করেন। এরপর ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেয় ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন পিটার হাস। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান।