দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন ফরাসি ফটোগ্রাফার অ্যান ডি হেনিং। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে অ্যান ডি হেনিং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে যান।  

 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।

অ্যান ডি হেনিং সেসব বিদেশি সাংবাদিকদের একজন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চোখ এড়িয়ে বাংলাদেশে ভ্রমণ করেছিলেন।

তার ছবিগুলো ছিল আশ্রয়প্রার্থী দুস্থ পিতা-পুত্র থেকে শুরু করে একটি ক্যাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা বর্ষণ করা বাড়ি পর্যন্ত।

মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে আরও একবার বাংলাদেশে আসেন অ্যান ডি হেনিং। মূলত পাকিস্তানের শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতা এনে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখতে এই সফর ছিল তাঁর।

এরপর কেটে গেছে ৫০ বছর। পরিবর্তিত বাংলাদেশ দেখতে অবশেষে তিনি ঢাকায় এসেছেন।

অ্যান ডি হেনিং এখন ৭৬ বছর বয়স পার করছেন। ৫১ বছর আগে তোলা তাঁর ছবি নিয়ে ঢাকায় ‘উইটনেসিং হিস্ট্রি ইন দ্য মেকিং: ফটোগ্রাফস বাই অ্যান ডি হেনিং’ শিরোনামে প্রদর্শনী হয়েছে।

সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর যৌথ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার পরে তিনি ক্যামেরা হাতে পুরো পরিবারের ছবি তুলে দেন। এছাড়া নিজেও প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে ছবি তোলেন। অ্যান ডি হেনিংয়ের ক্যামেরায় হাস্যোজ্জ্বলভাবে ধরা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছবি তোলা ছাড়াও গণভবনের প্রদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন অ্যান ডি হেনিং। এ সময় পুরনো দিনের নানা স্মৃতিচারণ করেন ফরাসি এই ফটোগ্রাফার।

যুদ্ধকালীন অন্ধকার দিনের পর তিনি যখন বাংলাদেশে এসেছেন, তখন বাংলাদেশ বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করছে। এতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই ফটোগ্রাফার। তিনি বলেন, ‘যেদিন জাতি তাদের বিজয় উদযাপন করছে এবং সারা শহরে লাল-সবুজ পতাকা উড়ছে, সেই দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষে ঢাকা সফরে এসেছি। ’

এছাড়াও তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় যে স্থানগুলো পরিদর্শন করেছিলেন তার কয়েকটি সফর করবেন বলেও জানান।