দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নে বিশ্বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যেন শান্তি, নিরাপত্তায় থাকতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের ৫০টি জেলায় নির্মাণ করা ১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন করার প্রাক্কালে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি বাঙালি যেন তৈরি হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করেছি। এবার আমরা ই-জনগোষ্ঠী তৈরির কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত পুষ্টি, উচ্চশিক্ষা, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কাজও করছি। এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৫০ জেলায় ১০০ মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার ৮২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যার বেশিরভাগ অর্থের জোগান দিয়েছে সরকার। দুই হাজার কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সবচেয়ে বড় সড়ক সাউথ এশিয়ান সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) কর্মসূচির আওতায় তৈরি হয়েছে। সেটি হলো জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার।

সবচেয়ে ছোট ইজতেমা সড়কের দৈর্ঘ্য ১.৩ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ সংখ্যক সড়ক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। তবে পার্বত্য অঞ্চলে কোনো সড়ক উদ্বোধন হচ্ছে না।

১০০ সড়কের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩২, ময়মনসিংহে ৬, চট্টগ্রামে ১৫, সিলেটে ৪, খুলনায় ১৬, রাজশাহীতে ৮, রংপুরে ১৫ ও বরিশালে চারটি সড়ক রয়েছে। জাতীয় সড়কে যুক্ত হচ্ছে ২০৬.৫৪ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিকে ৬২১.৬৮ কিলোমিটার। আর জেলায় এক হাজার ১৯৩.৩৪ কিলোমিটার সড়ক যুক্ত হচ্ছে।

সওজের অধীনে বর্তমানে দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার সড়ক আছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৮০০ কালভার্ট এবং সাড়ে চার হাজার সেতু। এ নেটওয়ার্কে তিন হাজার ৯৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, চার হাজার ৮৯৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক এবং ১৩ হাজার ৫৮৮ কিলোমিটার জেলা সড়ক রয়েছে। এবার যুক্ত হচ্ছে আরও দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে ১০০ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেগুলো নির্মাণে খরচ হয় ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।