দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণ যখন তার অধিকার আদায়ের সক্রিয় হয়, সাহসী হয় তখন তারা প্রস্তুত থাকে বুক পেতে দেয় গুলি খাওয়ার জন্য। সেই জনগণকে কখনো থামিয়ে রাখা যায় না। বিষয়টি সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে।

 

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গয়েশ্বর বলেন, সরকারের পতনের পর তাদের যে নিষ্ঠুরতা ইতিহাস তা জেনে আর কোনদিন কেউ চেঙ্গিস খান, হিটলার ও স্বৈরাচারদের গল্প শুনবে না।

‘আমরা হিটলারের গল্প শুনেছি, চেঙ্গিস খানের গল্প শুনেছি, পৃথিবীতে বহু স্বৈরাচারের গল্প শুনেছি। আমি জানি এই সরকারের পতনের পর তাদের নিষ্ঠুরতা ইতিহাসও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানবে। সুতরাং সবকিছুই সীমা আছে। সীমা লংঘন করলে ঈশ্বর নাকি ক্ষমা করেন না।

আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জনগণের ভোটে নির্বাচিত না জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন আমরা যতটুকু করি না কেন! আমি জানি, আপনাদের যেতেই হবে। আমি এও বলতে পারি, আন্দোলন না করলেও আপনাদের যেতে হবে। আপনার যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নাই। সুতরাং যেতেই যখন হবে। সময় মত ফিরে যান। এখনো সময় আছে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বলে যান, যা হওয়ার হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করেন। আমি এ ধরনের কাজ আর করব না। আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরে দাঁড়াবো।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭৪ সালে আপনার বাবা বলেছিলেন। দেশ স্বাধীন হলে মানুষ পায় হীরার খনি, সোনার খনি আর আমি পেয়েছি একটা চোরের খনি। আমি বিদেশ থেকে যা নিয়ে আসি; সব চাটার দলরা খায়। আমি তাই তাদের কিছু বলতে পারি না। আমি দেশের মানুষের জন্য ৭ কোটি কম্বল নিয়ে আসলাম। আমার কম্বলটা গেল কোথায়?’’

প্রধানমন্ত্রী আপনি কি বলতে পারবেন- আমার চাটার দলেরা খায়? আপনি বলতে পারবেন না। কারণ তারা সংঘদ্ধ। তারা চিৎকার করে বলবে- নেত্রী আমরা খেয়েছি, আপনাকেও দিয়েছি। সুতরাং দায় থেকে আপনি মুক্তি পাবেন না।

প্রতিবাদ সামাবেশে বিএসপিপি'র আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সভাপতিত্বে সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ড্যাবের মহাসচিব হারুনর রশিদ,বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ইউট্যাবের মহাসচিব ড.মোর্শেদ হাসান খান,সাংবাদিক রাশিদুল হক, সাঈদ খান প্রমুখ।